বাংলাহান্ট ডেস্ক: নব্বইয়ের দশকের সুন্দরী অভিনেত্রী আয়েশা টাকিয়া (Ayesha Takia)। মিউজিক ভিডিওর মিষ্টি মেয়ে থেকে চাবুক ফিগারের অধিকারিণী রূপে তাঁর বদল সবটাই চাক্ষুষ করেছিল বলিউড ভক্তরা। সাফল্য পেতে নিজেকে আমূল বদলে ফেলেছিলেন আয়েশা। শরীরকে কাটাছেঁড়া করে আবেদনময়ী বানাতে গিয়ে নিজেই বিদায় নেন বলিউড থেকে। সেই সুন্দরীর আজ কী অবস্থা? অভিনয় থেকে দূরে সরে কেমন আছেন তিনি?
নব্বইয়ের দশকের ছেলেমেয়ের কাছে আয়েশা মানেই ফাল্গুনী পাঠকের ‘মেরি চুনর উড় উড় যায়ে’র পুতুল পুতুল দেখতে একটা মেয়ে। যার প্রেমে সে সময়ে পাগল ছিল অনেকেই। তারও আগে মডেলিং দিয়ে নিজের কেরিয়ার শুরু করেছিলেন আয়েশা। তখন তাঁর বয়স মোটে ১৩ বছর। প্রথমে ‘কমপ্ল্যান গার্ল’ হিসাবে বেশ জনপ্রিয়তা পান তিনি। সেই আয়েশাকেই পরে ফাল্গুনী পাঠকের মিউজিক ভিডিওতে দেখে অনেকেই প্রথমে বিশ্বাস করতে পারেননি।
এরপর ‘নহি নহি কভি নহি’র রিমিক্স ভার্শনেও দেখা গিয়েছিল তাঁকে। তাঁর সঙ্গে ছিলেন সেই সময়ে তুমুল জনপ্রিয় কিথ সিক্যুয়েরা। কিন্তু এরপরে হঠাৎ করেই আয়েশার চেহারায় বড়সড় বদল দেখা যায়। বড়পর্দায় তাঁর প্রথম ছবি ‘টারজান: দ্য ওয়ান্ডার কার’। সেখানে আয়েশাকে দেখে চোখ কপালে উঠেছিল সবার। ছিপছিপে চেহারা থেকে হঠাৎ করেই বাস্টি লুকে ধরা দেন আয়েশা। পাশাপাশি এই ছবিতে বেশ স্বল্প পোশাকেও দেখা যায় তাঁকে।
সেই সময় রটে যায়, প্লাস্টিক সার্জারির সাহায্য নিয়েছেন আয়েশা। ব্রেস্ট ইমপ্ল্যান্ট করিয়েছেন তিনি। অবশ্য এর বিরোধিতা করতে শোনা যায় অভিনেত্রীর ভক্তদের। তাদের দাবি, স্বাভাবিক নিয়মেই এই পরিবর্তন ঘটেছে তাঁর শরীরে। কোনও প্লাস্টিক সার্জারিই নাকি করাননি আয়েশা।
একে একে ‘সোচা না থা’, ‘ডোর’, ‘সলাম-এ-ইশক’, ‘ওয়ান্টেড’ এর মতো ছবিতে অভিনয় করেছিলেন তিনি। বলিউডে ভাল মতো জাঁকিয়ে বসার আগেই হঠাৎ নিরুদ্দেশ হয়ে যান আয়েশা। ২০১১ সালের পর থেকে বলিউডের থেকে সমস্ত সম্পর্ক ত্যাগ করেন তিনি।
২০০৯ সালে সমাজবাদী পার্টির নেতা আবু আজমিকে বিয়ে করেন আয়েশা। তাঁদের ছেলের নাম মিকাইল আজমি। প্রাক্তন অভিনেত্রী সোশ্যাল মিডিয়ায় থাকলেও নিজের ছবি একেবারেই শেয়ার করেন না তিনি। অবশ্য এখনকার আয়েশার সঙ্গে আগের আয়েশার কোনো মিলই আর অবশিষ্ট নেই। বাহ্যিক দিক দিয়ে দুজনে সম্পূর্ণ অন্য মানুষ।