বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বছর ঘুরলেই বাংলায় বিধানসভা ভোট। তার আগে শক্তি বাড়াচ্ছে তৃণমূল (Trinamool Congress)। বিগত বেশ কয়েকমাস ধরেই গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল। অবশেষে বৃহস্পতিবার বিকেলে বিজেপি (BJP) ছেড়ে আনুষ্ঠানিকভাবে তৃণমূলে (TMC) যোগ দিলেন এক হেভিওয়েট প্রাক্তন সাংসদ তথা সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। সুব্রত বক্সী ও অরূপ বিশ্বাসদের উপস্থিতিতে দলীয় পতাকা তুলে নেন তিনি।
বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে (Trinamool Congress) যোগ দিলেন কোন প্রাক্তন সাংসদ?
বিগত বেশ কয়েক মাস ধরে তৃণমূলের সঙ্গে আলিপুরদুয়ারের প্রাক্তন সাংসদ জন বার্লার ঘনিষ্ঠতার গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল। গত জানুয়ারি মাসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায় তাঁর ডাক পাওয়া নিয়েও বিস্তর জলঘোলা হয়। অবশেষে এদিন তৃণমূলে নাম লেখালেন উত্তরের এই হেভিওয়েট রাজনীতিক।
কেন হঠাৎ বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন, সেকথাও জানিয়েছেন জন (John Barla)। তিনি বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ। উনি আজ আমায় এত বড় সুযোগ দিয়েছেন। নিজের সমাজের জন্য কাজ করার সুযোগ দিয়েছেন। আমি কেন এই সিদ্ধান্ত নিলাম, সেটা জানাতে চাই’।
আরও পড়ুনঃ পাকিস্তানে কীভাবে দিন কেটেছে বাঙালি জওয়ানের? অত্যাচারের বিবরণ দিলেন পূর্ণম সাউ
আলিপুরদুয়ারের প্রাক্তন সাংসদ বলেন, বিগত ছয়-সাত মাস ধরেই কথাবার্তা চলছিল। মুখ্যমন্ত্রী মাঝে ফোন করে কাজ করতে বলেছিলেন বলে দাবি করেন তিনি। সেই সঙ্গেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন জন। নন্দীগ্রামের বিধায়ক উন্নয়নের কাজ করতে বাধা দিতেন বলে অভিযোগ আনেন তিনি।
সদ্য তৃণমূলে যোগ দেওয়া এই নেতা বলেন, ‘রেলের জমিতে ১০০% অনুদান নিয়ে, ১৬০ কোটি টাকার হাসপাতাল তৈরি করতে গিয়েছিলাম। রেল জমি দিয়েছিল, শুধু মউ সই করা বাকি ছিল। তবে এখন যিনি বিরোধী দলনেতা, যেভাবে উনি কাজ আটকে দেন… জনগণ আশীর্বাদ দিয়ে আমায় মন্ত্রী বানিয়েছিলেন। তবে নিজেদের দলের লোকই, বর্তমান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী… এখান থেকে ফোন গেল আর আমায় আটকে দেওয়া হল। এভাবে যদি উন্নয়নমূলক কাজ আটকে দেওয়া হয়, তাহলে কে দল করবে?’
উল্লেখ্য, আগামী বছর রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে উত্তরে বড় শক্তিবৃদ্ধি হল তৃণমূলের (Trinamool Congress)। সুব্রত বক্সী এদিন বলেন, জনের হাত ধরে চা বাগানে আমাদের দল আরও শক্তিশালী হবে। তাঁকে চা বাগানের দায়িত্ব দেওয়া হবে, রাজ্য কমিটিতে কাজ করবেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানান সুব্রত।