বাংলা হান্ট ডেস্ক : ভরা শীতেও গরম হয়ে উঠেছে কৃষ্ণনগরের আবহাওয়া। রাজনৈতিক বৃত্তে একটার পর একটা বোমা ফাটছে এই এলাকায়। এতদিন মহুয়া মৈত্রর (Mahua Moitra) বহিষ্কারের খবর তো ছিলই আর এবার তাতে দোসর হল প্রাক্তন সাংসদ তাপস পালের (Tapas Paul) স্ত্রী নন্দিনী মুখোপাধ্যায়। তাপস বিতর্ক উস্কে উগরে দিলেন মনের মধ্যে জমে থাকা ক্ষোভ। সাফ কথায় জানালেন, মৈত্রের পাশে দল দাঁড়ালেও বিতর্ক চলাকালীন তাপস পালের সাথে দূরত্ব বজায় করেছিল সবাই। তাপস জায়ার নিশানায় এক নয় একাধিক।
মহুয়া বিতর্কের মাঝেই নিজের ফেসবুকের দেওয়ালে এক লম্বা পোস্ট করেছিলেন নন্দিনী। দলের বিরুদ্ধে উগরে দিয়েছিলেন একাধিক অভিযোগ। তাপস পাল গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে শুরু করে মৃত্যুদিন পর্যন্ত তিনি কার কার কাছে সাহায্যের আবেদন করেছিলেন এবং কোথায় কোথায় ধাক্কা খেয়েছিলেন, সেই সবটাই জানালেন তিনি। সেই তালিকায় বাদ যায়নি দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। নন্দিনী জানান, দলের যখন তাপসের স্টারডমের দরকার ছিল তখন তারা তা ব্যবহার করেছে। তবে তাপসের প্রয়োজনে তাকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ‘আমি চন্দননগরের মাল’ এবং ‘ঘরে ছেলে ঢুকিয়ে দেব’ এই দুই বাক্য রাজনীতিবিদ তাপস পালের কেরিয়ার গ্রাফে কালি ছিটিয়ে দেয়। পরবর্তী সময়ে রোজভ্যালি মামলায় জেল হেফাজত হয় অভিনেতা রাজনীতিবিদ তাপস পালের। এইদিন সাক্ষাৎকারে নন্দিনী জানান, জেল থেকে জামিন মেলার পর মুখ্যমন্ত্রী তাদের নির্দেশ দেন, মলয় ঘটকের সাথে দেখা করতে। তিনি বলেন, মলয়কে সব বলা আছে, তিনিই সবটা দেখে নেবেন।
আরও পড়ুন : শীতের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ের মাঝেই বৃষ্টির আশঙ্কা! দক্ষিণবঙ্গের পারদ নামবে ৯ ডিগ্রিতে, IMD রিপোর্ট
তবে তাপস কন্যা সোহিনী পালের কথায়, ‘ মলয় ঘটকের অফিসে গিয়ে শুনতে পাই উনি বলছেন, বলো আমি নেই।’ এছাড়াও নন্দিনীর গলায় শোনা গেল আরেক মন্ত্রীর গলায়। তিনি বলেন, ‘মুম্বই থেকে বাবার দেহ নিয়ে কলকাতায় আসি। অরূপ বিশ্বাস আমাদের সঙ্গে ছিলেন। পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন। তবে পরে অরূপ বিশ্বাস আমার মায়ের ফোন নম্বর ব্লক করে দেন। এই ভণ্ডামি কেন?”
আরও পড়ুন : এক চুটকিতে জল গরম, লাগবে না বিদ্যুৎ! সাশ্রয়ী মূল্যে গিজার এনে তাক লাগিয়ে দিল Bajaj
তাপস জায়া আরও বলেন, অভিনেতার মৃত্যুর পর তারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথেও যোগাযোগের চেষ্টা করেছিলেন। ডেরেক ও ব্রায়েন, কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দোলা সেনকে দিয়ে তিনবার চিঠি পাঠানো হলেও সেই চিঠির উত্তর আসেনি। নন্দিনী দাবি করেন, তাপসকে ছাড়ানোর জন্য নিজের FD ভেঙে ১ কোটি টাকা দিয়েছিলেন তিনি। সেই টাকা নাকি আজও সিবিআইয়ের কাছে আটকে আছে। তিনি বলেন, ‘ওই টাকা তাপসের সারা জীবনের সম্বল, তার উপার্জনের টাকা ছিল।’