শীতের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ের মাঝেই বৃষ্টির আশঙ্কা! দক্ষিণবঙ্গের পারদ নামবে ৯ ডিগ্রিতে, IMD রিপোর্ট

বাংলা হান্ট ডেস্ক : মিগজাউমের দাপট কাটিয়ে বঙ্গে চলছে শীতের (Winter) স্পেল। উত্তরবঙ্গ তো বটেই সেই সাথে জাঁকিয়ে শীত পড়েছে পশ্চিমের জেলাগুলিতেও। পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) সমস্ত জায়গাতেই কমবেশি পারদ পতন হয়েছে। এমনকি গত দিন দুয়েক ধরে জমিয়ে শীত উপভোগ করছে কলকাতার (Kolkata) মানুষজন। সবে মিলিয়ে শীতের অনুকূল পরিস্থিতি গোটা রাজ্যে।

মৌসম ভবনের (India Meteorological Department) খবর, কলকাতায় আজ তাপমাত্রা স্বাভাবিকের নীচে। সকালের তাপমাত্রা ছিল স্বাভাবিকের চেয়ে এক ডিগ্রি কম অর্থাৎ ১৫.১ ডিগ্রি। ওদিকে বুধবার বিকেল অবধি তাপমাত্রা ছিল ২৪.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী ২৪ ঘন্টায় তিলোত্তমা নগরীর তাপমাত্রা থাকবে ১৫ থেকে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে।

সেইসাথে হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী কয়েকদিন দক্ষিণবঙ্গে (South Bengal) চলবে শীতের স্পেল। বাঁকুড়া, পুরুলিয়ার মানুষজনের এখন ঠান্ডায় জবুথবু অবস্থা। এইদিন বাঁকুড়া জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৭ ডিগ্রির মত। বেলা বাড়ার সাথে খানিক রোদের আভা দেখা গেলেও সূয্যি মামা অস্ত গেলেই তরতরিয়ে নামছে পারদ মাত্রা। অর্থাৎ জেলাটিতে বেশ জাঁকিয়ে বসেছে শীতের আমেজ।

আরও পড়ুন : অশোকনগরে নাবালিকাকে ধর্ষণ, মুখ বন্ধ রাখতে প্রাণনাশের হুমকি! গ্রেফতার পিসেমশাই আবদুর রহমান

শীতের চেনা ছবি পুরুলিয়াতেও। জেলাটিতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ৯ থেকে ১০ ডিগ্রির আশেপাশে। ঝাড়গ্রামের অবস্থাও একইরকম। দিন দিন নামছে পারদ মাত্রা। কোথাও মানুষ রাস্তার ধারে আগুন জ্বালিয়ে গা গরম করছে তো কোথাও আবার গরম চায়ে চুমুক। সেই সাথে রয়েছে কুয়াশার মোটা চাদর। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, আগামী ৫দিন আপাতত বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।

আরও পড়ুন : সাংসদ পদ খোয়ানোর পর এবার সুপ্রিম কোর্টেও ঝটকা! মহুয়ার মাথায় ভেঙে পড়ল দুঃখের পাহাড়

ওদিকে উত্তরবঙ্গের ছবিটাও অনেকটা একইরকম। হালকা বৃষ্টিপাত এবং তুষারপাতের পর উত্তরে এখন চলবে শীতের স্পেল। সেই সাথে কয়েকটি জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা থাকতে পারে বলে খবর। গত বুধবার দার্জিলিং-র পারদ ছিল ৫.৮ ডিগ্রির ঘরে। বাগডোগরার পারদ ছিল ১২.৪ ডিগ্রির ঘরে। সেখানে কোচবিহারের তাপমাত্রা ছিল ১৫.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

Moumita Mondal
Moumita Mondal

মৌমিতা মণ্ডল, গ্র্যাজুয়েশনের পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। বিগত ৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে লেখালেখির সাথে যুক্ত। প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর