বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আবার অপরাধের সাথে জড়িয়ে গেলো মাদ্রাসার নাম। কিছুদিন আগে উত্তর প্রদেশের এক মাদ্রাসা থেকে বেআইনি অস্ত্র উদ্ধার হওয়ার পর, এবার উত্তর প্রদেশের শামলি জেলার এক মাদ্রাসা থেকে চার সন্দেহভাজন জঙ্গিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। গ্রেফতার করা ব্যাক্তিদের থেকে তিনটি পাসপোর্ট, সংযুক্ত রাষ্ট্রের শরণার্থী প্রমানপত্র, দুটি ভারতীয় আধার কার্ড, দুটি ব্যাংকের পাস বই, একটি প্যান কার্ড, ৪ টি মোবাইল ফোন এবং আট হাজার ৩০ টাকা উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ ওই ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে আরও কিছু গোপনীয় তথ্য পায়। ওই গোপন তথ্য গুলোর উপরে নির্ভর করে পুলিশ নতুন রণনীতি স্থির করছে।
গ্রেফতার হওয়া চারজনই বেআইনি ভাবে মাদ্রাসাতে বসবাস করছিল। পুলিশের সুত্রের সঠিক খবরের পর মাদ্রাসাতে তল্লাশি চালিয়ে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়। ধৃত চারজনই মায়ানমারের বাসিন্দা। সবাই নিজের পরিচয় গোপন করে মাদ্রাসায় থাকছিল। মায়ানমারের সন্দেহভাজন চার জঙ্গি ছাড়াও, পুলিশ ওই মাদ্রাসার তিন সঞ্চালককে গ্রেফতার করে। আপাতত সমস্ত অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে জেলে পাঠিয়ে দিয়েছে পুলিশ।
এই ঘটনা উত্তর প্রদেশের ভবন থানা এলাকার জলালাবাদ এর। তল্লাশির সময় খুশনুমা কলোনির এক যুবককেও গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃত যুবকের নাম আবদুল মাজিদ, ধৃত যুবক মায়ানমারের ওনেগান গ্রামের বাসিন্দা। আবদুল ২০০১ সালে তাঁর বাবা এবং ভাইয়ের সাথে বাংলাদেশ হয়ে কলকাতায় এসে শরণ নিয়েছিল। সেখানে কিছুদিন থাকার পর শামলিতে এসে ঘাঁটি গাড়ে। ২০০৪ সালে ভুয়ো তথ্য দিয়ে আধার কার্ড আর প্যান কার্ড বানিয়ে নিয়েছিল ওই যুবক। আর ওই আধার কার্ড আর প্যান কার্ড নিয়ে SBI এবং PNB ব্যাঙ্কে দুটি অ্যাকাউন্ট খুলেছিল ওই যুবক।
ভারতে এসে আবদুল মাজিদ ধর্মীয় শিক্ষা অর্জন করে। আর ২০১৬ সালে দারুল উলুম জালালাবাদ মাদ্রাসায় শিক্ষক হিসেবে বাচ্চাদের পড়ানো শুরু করে। এছাড়াও আবদুল শামলির বেশ কয়েকটি মাদ্রাসায় বাচ্চাদের শিক্ষা দিয়েছিল। আবদুল মাজিদের উপর অভিযোগ, এত বছর ধরে ভারতে থেকে সরকারি আধিকারিকদের বিদেশি পঞ্জিকরনের সূচনা দিয়েছিল না, আর না সে স্থানীয় পুলিশ এবং প্রশাসনকে তাঁর সম্বন্ধ্যে কোন তথ্য দিয়েছিল। আর এত বছর ভারতে থেকে আবদুল মাজিদ ৫ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা দিয়ে একটি বাড়িও কিনে নিয়েছিল।
এরই মধ্যে আবদুল মাজিদের যোগাযোগ মায়ানমারে থাকা তিন যুবকের সাথে হয়। তাঁরা পাসপোর্ট আর ভিসার সাহায্যে মায়ানমার থেকে ভারতে এসে অবৈধ ভাবে বসবাস শুরু করে দেয়। তাঁরা আবদুল মাজিদের তত্বাবধানে মাদ্রাসা থেকে ধর্মীয় শিক্ষাও অর্জন করে। পুলিশ আবদুল মাজিদ সমেত তাঁর তিন সাগরেদকে জঙ্গি সন্দেহে গ্রেফতার করেছে।