বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: চোট আঘাতে জর্জরিত গোটা দলটা। ডিফেন্স থেকে আক্রমণভাগ, একাধিক তারকা ফুটবলারকে তারা চলতি বিশ্বকাপের স্কোয়াডে জায়গা দিতে পারেনি শুধুমাত্র চোটের কারণে। গতবারের ইউরো কাপে এবং নেশন্স লিগে খারাপ পারফরম্যান্সের কারণে যথেষ্ট সমালোচনাও হয়েছে তাদের। এমন অবস্থায় চলতি বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমে মাত্র ৯ মিনিটের মধ্যে পিছিয়ে পড়া এবং দলের ১ নম্বর লেফট ব্যাকের চোট পেয়ে বেরিয়ে যাওয়া। পরিস্থিতিটা যে খুব একটা সুখবর নয় সেটা সকলেই আন্দাজ করতে পারবেন এই বর্ণনা শুনে।
কিন্তু এমন পরিস্থিতি থেকেও গতবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স অস্ট্রেলিয়াকে হারালো ৪-১ ফলে। প্রথম আধঘন্টা অস্ট্রেলিয়া প্রশংসনীয় ও দুর্দান্ত ফুটবল খেলেছে। নিজের দুরন্ত ফিনিশে ফ্রান্স গোলরক্ষক পরাস্ত করে দলকে এগিয়ে দিয়েছিলেন। কিলিয়ান এমবাপ্পেকে ভালোই সামাল দিচ্ছিল অস্ট্রেলিয়ার রক্ষণ। কিন্তু ৩৫ মিনিট নাগাদ পরিবর্ত হিসাবে নামা থিও হার্নান্দেজের একটি দুর্দান্ত ক্রস এবং তাতে আদ্রিয়ান র্যাবিয়টের দুর্দান্ত হেডারে সমতায় ফেরে ফ্রান্স।
হাফ টাইমের আগে সেই র্যাবিয়টের পাশ থেকেই দলকে সমতায় ফেরান বেনজেমা না থাকায় দলের প্রধান স্ট্রাইকারের ভূমিকা পালন করা অলিভার জিরু। গতবারের বিশ্বকাপে ফ্রান্স যখন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল তখন সবকটি ম্যাচ খেলেও একটি গোলও করতে পারেননি তিনি। আজ প্রথমার ঠিক গোল খাওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধেও একটি গোল করেছিলেন তিনি। ফ্রান্সের সর্বোচ্চ গোলদাতার লিস্টে নিজের ৫১ তম গোল করে কিংবদন্তি থিয়ের অঁরি-কে ছুঁয়ে ফেলেছেন তিনি।
প্রথমার্ধে কিছুটা নিষ্ক্রিয় থাকা তরুণ তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পে দ্বিতীয়ার্ধে নিজের পরিচিত ছন্দে ফিরে আসেন। বার্সা উইঙ্গার উসমান ডেম্বেলের পাস থেকে নিজের প্রথম গোলটি করেন এবং জিরুর দ্বিতীয় গোলটির জন্য বল সাজিয়ে দেন। তবে ম্যাচ জিতলেও প্রথমার্ধের প্রথম দিকে ফ্রান্স যে ফুটবলটা খেলেছে তারপর সমর্থকরা কিছুটা চিন্তায় থাকতে বাধ্য হবেন। সেইসঙ্গে লুকাসও খুব সম্ভবত বাঁ পায়ে চোট পেয়ে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেলেন। ফলে ইনজুরির সমস্যা নিয়ে আরো ভুগতে হচ্ছে তাদের।
এই জয়ের পর আপাতত সুবিধাজনক জায়গায় রয়েছে ফ্রান্স। ডেনমার্ক ও তিউনিশিয়ার মধ্যে ম্যাচটি ড্র হওয়ায় তারা আপাতত গ্রুপ শীর্ষে। আরেকটি ম্যাচ জিততে পারলেই গ্রুপ শেষ থেকেই পরের রাউন্ডে যাওয়ার সুযোগ পেয়ে যাবেন এমবাপ্পেরা।