বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পুজোর আর হাতে গোনা আর মাত্র ক’টা দিন। আর পুজোয় কলকাতার অন্যতম আকর্ষণ সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের (Santosh Mitra Square) পুজো। এই পুজোর প্রস্তুতি এখন তুঙ্গে। তবে সেই প্রস্তুতির মাঝেই ফের বাধার সুর। মুচিপাড়া থানার পক্ষ থেকে মঙ্গলবার উদ্যোক্তাদের হাতে তুলে দেওয়া হল নতুন চিঠি। এবছরে এ নিয়ে চতুর্থবারের মতো নির্দেশিকা পাঠাল পুলিশ।
পুজোর বিধিনিষেধ নিয়ে সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারকে(Santosh Mitra Square) চিঠি পুলিশের
চিঠিতে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, মণ্ডপ নির্মাণ ও দর্শনার্থী নিরাপত্তার জন্য একাধিক নিয়ম মানতেই হবে। প্রবেশ ও বাহির পথ নির্দিষ্ট রাখতে হবে, পাশাপাশি লাগাতে হবে ৬০টি সিসিটিভি ক্যামেরা। শর্তে আরও বলা হয়েছে, প্যান্ডেলের সামনে কোনও হকার বসতে পারবেন না এবং কমপক্ষে ২৫০ জন প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবক রাখতে হবে।
সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের (Santosh Mitra Square) পুজোর এবারের থিম ‘অপারেশন সিঁদুর’। ইতিমধ্যেই অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে প্যান্ডেল তৈরির কাজ। আলো ও শব্দ ব্যবস্থাপনাতেও পুলিশের বিশেষ নির্দেশ রয়েছে। এমনকি, ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার সামনের রাস্তা থেকে প্যান্ডেলের প্রবেশদ্বার পর্যন্ত কোনও বিজ্ঞাপন লাগানো যাবে না, এই নির্দেশও এসেছে পুলিশের তরফে।
পুলিশি হস্তক্ষেপে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন উদ্যোক্তা ও বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ। তাঁর দাবি, “আমরা মানুষের ভালোর জন্যই আয়োজন করছি। কোনও অসুবিধা হবে না। অথচ পুলিশ বারবার বাধা দিচ্ছে।” সজলবাবুর অভিযোগ, ইচ্ছাকৃতভাবেই চিঠি পাঠিয়ে পুজো উদ্যোক্তাদের চাপে রাখা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, “সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের মতো প্রবেশ ও বাহিরের এতখানি জায়গা অন্য কোনও পুজোয় পাওয়া যায় না।”
আরও পড়ুনঃ মাত্র দু’দিনে বাংলাদেশি দাগিয়ে ফেরত! দিল্লি পুলিশের কাণ্ডে ক্ষুব্ধ কলকাতা হাই কোর্ট
বড়ো পুজো মানেই ভিড় সামলানো পুলিশের অন্যতম চ্যালেঞ্জ। তাই নিরাপত্তার দিক থেকে কড়া পদক্ষেপ স্বাভাবিক। তবে সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের (Santosh Mitra Square) উদ্যোক্তাদের দাবি, অতিরিক্ত বিধিনিষেধে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে তাঁদের দীর্ঘ পরিকল্পনা। এখন দেখার বিষয়, শেষমেশ পুলিশ ও উদ্যোক্তাদের মধ্যে সমঝোতা হয় কি না।