বাংলাহান্ট ডেস্ক : ইতিহাস তৈরি করে চাঁদের মাটিতে পা রেখেছে ইসরোর (Indian Space Research Organisation) চন্দ্রযান ৩। চাঁদের মাটিতে ভারতের এই পদার্পণ নিঃসন্দেহে বিজ্ঞান গবেষণায় ভারতকে অনেক ধাপ এগিয়ে দিল। তবে এই যাত্রা পথ কিন্তু সুগম ছিল না। হাজার হাজার বৈজ্ঞানিকের অক্লান্ত পরিশ্রম ও প্রচেষ্টা এনে দিয়েছে এই সাফল্য।
গতকাল সন্ধ্যা ছটা চার মিনিটে ইসরোর তাবড় মেধাবীদের সাফল্যই যেন নতুন ইতিহাস তৈরি করল। চন্দ্রযান তিনের সাফল্যের পিছনে বহু বাঙালির অবদান রয়েছে। এনাদের মধ্যে অন্যতম জলপাইগুড়ির বাসিন্দা কৌশিক নাগ। ২৯ বছরের কৌশিক জলপাইগুড়ির মহন্ত পাড়ার বাসিন্দা।
তিনি বর্তমানে ইসরোয় কর্মরত। অন্যান্য কয়েকশো বৈজ্ঞানিকের সাথে চন্দ্রযান তিন তৈরির পেছনে তার অবদানও রয়েছে। গতকাল যখন ‘ বিক্রম ‘ চাঁদের মাটি স্পর্শ করল তখন জলপাইগুড়ির মানুষেরাও যেন ছুঁয়ে দেখলেন চাঁদকে। কৌশিক এর মাধ্যমে যেন স্বপ্ন পূরণ হল হাজার হাজার জলপাইগুড়িবাসীর।
আরোও পড়ুন : পরীক্ষা হবে বছরে দু’বার, একাদশ-দ্বাদশে থাকবে দুটি ভাষা! আসতে চলেছে নতুন নিয়ম
কৌশিক একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। চন্দ্রযান তিনের সাফল্যের পেছনে রয়েছে তারও অবদান। কাল যখন চন্দ্রযান চাঁদের মাটি স্পর্শ করল তখন জলপাইগুড়িবাসীদের (Jalpaiguri) চোখ ছিল টিভির পর্দায়। চন্দ্রযানের চাঁদের দক্ষিণ মেরু স্পর্শ করার সাথে সাথে আনন্দে আত্মহারা হয়ে ওঠেন কৌশিকের মা সৌনালি রায়।
আরোও পড়ুন : কোন খাবার খাওয়ার পর এটি খেলেই সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যু! জানেন, জিনিসটা কী ?
তিনি বলেন, ‘আমি আগে থেকেই বিষয়টি জানতাম। সেই মতো টিভিতে চোখ রেখে ছিলাম। যখন ঘোষণা হল চন্দ্রযান-৩ চাঁদের মাটিতে সফল অবতরণ করেছে সেই মুহুর্তে ছেলের সাফল্যের কথা ভেবে আনন্দে চোখে জল চলে এসেছিল। কৌশিকের মা জানিয়েছেন, ছেলে ফোন করে জানতে চেয়েছিল কেমন লাগছে?’
তখন তিনি জানান, “আমি বললাম তোর জন্য আমরা সবাই আনন্দিত। ভারতীয় হিসেবে গর্ব অনুভব করছি। এই সাফল্যকে আমি স্যালুট জানাই। কৌশিকের এই সাফল্যের পর তার বাড়ি গিয়ে হাজির হন স্থানীয় পুলিশকর্তারা। এক পুলিশ কর্তার কথায়, “যেহেতু কৌশিককে পাইনি, তাই তার মাকে সংবর্ধনা জানালাম। ওর জন্য আমরা সবাই গর্বিত।”