বাংলা হান্ট ডেস্ক : আজ, ১ জানুয়ারি, সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) প্রতিষ্ঠা দিবস। এই দিনকে স্মরণ করেই রবিবার বাংলার পাশাপাশি ত্রিপুরা, অসম, গোয়া, মেঘালয় ও দিল্লিতে দলীয় পতাকা উত্তোলন হবে। এরই সঙ্গে সারাদিন ধরে তৃণমূলের একাধিক সামাজিক এবং রাজনৈতিক কর্মসূচিও রয়েছে। দলের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে দলের সর্বস্তরের কর্মীদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mmamata Banerjee) এবং তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)।
আগামীকাল ২ জানুয়ারি, সোমবার নজরুল মঞ্চে দলের সাংসদ, বিধায়ক ও জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে কর্মসমিতির বৈঠক। আগামী দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করবেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যেপাধ্যায়। থাকবেন দলের ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ ও দলের সেকেন্ড ইন কমান্ডার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। আজ দুপুরেই তপসিয়ায় দলের সদর দফতরের নতুন ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হবে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে তৈরি দল ১৯৯৮ সালের এই দিনে নির্বাচন কমিশন (Election Commission) থেকে প্রতীক চিহ্ন নিয়ে রাজনৈতিক ভাবে যাত্রা শুরু করে। যদিও এট আগে ১৯৯৭ সালেই তৈরি হয়ে যায় তৃণমূল কংগ্রেস তৈরির প্রেক্ষাপট। তৎকালীন রাজ্য যুব কংগ্রেস সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) লক্ষ্যই ছিল বাম অপশাসনের অবসান। কিন্তু প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব সেই বিষয়ে ছিল উদাসীন। আর এর জেরেই ১৯৯৮ সালের ১ জানুয়ারি জন্ম নেয় তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC)। টানা তিন তিনবার মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
রক্তদান, শীতবস্ত্র বিতরণ, হাসপাতালে রোগীদের ফল বিতরণের মতো একাধিক সামাজিক কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে তৃণমূলের পক্ষ থেকে। এই কর্মসূচীতে অংশ নিচ্ছে ছাত্র, যুব, মহিলা, শ্রমিক, জয় হিন্দ, ফেডারেশন থেকে শুরু করে সমস্ত শাখা সংগঠনের কর্মীরাও। বহু এলাকায় গত মধ্যরাত থেকেই নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর পাশাপাশি দলের জন্মদিন পালনের কর্মসূচিও শুরু হয়ে গেছে।
আগামীকাল ২ জানুয়ারি নজরুল মঞ্চে দলের কর্মসমিতির সভায় চারটি রাজনৈতিক বিষয়কে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বলে দলীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে। প্রথমত, বাংলার উন্নয়ন। দ্বিতীয়ত, কেন্দ্রের বঞ্চনা ও জনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে ব্যাপক প্রচার। তৃতীয়ত, প্রতিহিংসার রাজনীতির বিরুদ্ধে দেশজুড়ে প্রতিবাদ কর্মসূচি। চতুর্থত, সর্বস্তরে দলীয় শুদ্ধিকরণের মাধ্যমে উন্নততর তৃণমূল কংগ্রেস। অবশ্য সব কিছুর উপর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই।