বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবারে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আপডেট সামনে এসেছে। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, দেশের (India) অন্যতম শ্রেষ্ঠ ধনুকবের তথা আদানি গ্রুপের (Adani Group) চেয়ারম্যান গৌতম আদানি (Gautam Adani) ব্যাঙ্ক থেকে প্রায় ৫,০০০ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার পরিকল্পনা করছেন। ফোর্বসের মতে, গৌতম আদানি বর্তমানে ভারতের দ্বিতীয় ধনী ব্যক্তি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছেন। মূলত, আদানি গ্রুপ তার বিদ্যমান ঋণ রি-ফাইন্যান্সের জন্য প্রায় ৬০০ মিলিয়ন ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৫,০০০ কোটি টাকা) বৈদেশিক ঋণ সংগ্রহ করার পরিকল্পনা করছে।
ব্লুমবার্গের মতে, এই ঋণ আদানি টোটাল প্রাইভেট লিমিটেড ও ধামরা এলএনজি টার্মিনাল প্রাইভেট ঋণ সংগ্রহ করতে পারে। পাশাপাশি, ঋণের মেয়াদ তিন থেকে পাঁচ বছর হতে পারে। যেটির মূল্য সিকিওর্ড ওভারনাইট ফাইন্যান্সিং রেটের সাথে সংযুক্ত থাকতে পারে। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, আদানি টোটাল, আদানি এবং টোটালএনার্জির মধ্যে থাকা একটি জয়েন্ট ভেঞ্চার।
২ মাসের সময়: প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, আদানির মোট সম্পত্তি হল ৬,৭০,৭৮৫ কোটি টাকা। এই পোর্ট-টু-পাওয়ার গ্রুপ ক্রেডিট এগ্রিকোল, ডিবিএস ব্যাঙ্ক লিমিটেড, বিএনপি পারিবাস, মিৎসুবিশি ইউএফজে ফাইন্যান্সিয়াল গ্রুপ ইনকর্পোরেটেড এবং মিজুহো ব্যাঙ্ক লিমিটেড সহ ঋণদাতাদের সাথে লেনদেনের পরিকল্পনা করছে। আদানি দ্বারা আগামী ২ মাসের মধ্যে ঋণ পরিশোধ করার সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে, হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ দ্বারা “টার্গেট” হওয়ার পর গ্রুপটি বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফের ফিরে পাচ্ছে।
আরও পড়ুন: ম্যাচ ফিক্সিং করে গিয়েছেন জেলে! বিশ্বকাপের আগে ভিসা পাচ্ছেন না পাকিস্তানের এই খেলোয়াড়, সঙ্কটে টিম
এর আগেও সংগ্রহ করা হয়েছে টাকা: জানিয়ে রাখি যে, হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের নেতিবাচক রিপোর্টের পর বড় ধরণের ক্ষতির মুখে পড়তে হয় আদানি গ্রুপকে। তবে, আদানি গ্রুপ আবার বিনিয়োগকারীদের আস্থা জয় করতে সফল হয়েছে। পাশাপাশি, এই গ্রুপের কোম্পানিগুলির শেয়ার আবারও গতি পেয়েছে। এদিকে, আদানি গ্রুপ যে ব্যাঙ্ক থেকে এই প্রথম ঋণ নিচ্ছে এমনটা কিন্তু নয়। এর আগেও, গুজরাটের মুন্দ্রায় একটি পিভিসি প্ল্যান্ট তৈরির জন্য সরকারি ব্যাঙ্ক SBI-এর কাছে ১৪,০০০ কোটি টাকা ঋণ চাওয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন: মদ্যপান না করেও পেতে পারেন ড্রিংক অ্যান্ড ড্রাইভের চালান! আগেভাগেই হয়ে যান সতর্ক
এছাড়াও, আদানি এন্টারপ্রাইজের কোম্পানি নাভি মুম্বাই ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট ব্যাঙ্ক থেকে ১২,৭৭০ কোটি টাকা এবং গ্রিনফিল্ড কপার রিফাইনারি প্রকল্পের জন্য ৬,০৭১ কোটি টাকা সংগ্রহ করে। উল্লেখ্য যে, বর্তমানে প্রাকৃতিক গ্যাসের অংশীদারিত্ব বাড়াতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার। এমন পরিস্থিতিতে LNG আমদানির সক্ষমতা বাড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এই পদক্ষেপ কয়লা ও তেলের ওপর নির্ভরতা কমাতে সাহায্য করবে।