বাংলাহান্ট ডেস্ক : ২০২২ সালে ভারতীয় ব্যাবসায়ী গৌতম আদানি (Gautam Adani) সারা পৃথিবীকে চমকে দিয়েছেন। এই বছর বিশ্বের দ্বিতীয় ধনীতম ব্যক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছেন তিনি। বর্তমানে তিনি রয়েছেন তালিকায় তৃতীয় স্থানে। বর্তমানে গৌতম আদানির মোট সম্পদের পরিমাণ ১১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ব্লুমবার্গ বিলিয়নিয়ার্স ইনডেক্স অনুযায়ী, সাম্প্রতিককলে আদানি গ্রুপের যে শেয়ারের পতন হয়েছিল তার বিশেষ প্রভাব পড়েনি গৌতম আদানির মোট সম্পদের উপর।
২০২২ সালে গৌতম আদানির মোট সম্পদের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে ৩৩.৮০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। শতাংশের হিসেবে ৪৪.২%। অনেকেই বিলিয়ন বা হাজার কোটির হিসাবটি সহজে বুঝতে পারবেন না। একটি উদাহরণ দিয়ে ব্যাপারটি সহজ করে বলা যাক। পাকিস্তান আমাদের প্রতিবেশী দেশ। সেই দেশের স্টক মার্কেটের মোট মার্কেট ক্যাপিটাল বা বাজার মূলধন ৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
গত এক বছরে গৌতম আদানির মোট যত পরিমান সম্পদ বৃদ্ধি পেয়েছে সেটি পাকিস্তানের শেয়ার বাজারের মোট মূলধনের চেয়েও বেশি। বিশ্বব্যাপী মন্দার ফলে ব্লুমবার্গ বিলিনিয়ার্স ইনডেক্স এ বহু ধনি ব্যক্তি তালিকায় পিছিয়ে গিয়েছেন। তবে গৌতম আদানি ব্যতিক্রম। তিনি মন্দার বাজারেও নিজের উন্নতি বজায় রেখেছেন ২০২২ সালে।
আরও একটি মজাদার উদাহরণ দেওয়া যাক আপনাদের। গৌতম আদানির সম্পদের পরিমাণ ২০২২ সালে যে পরিমাণে বেড়েছে তা সালভাদর, হন্ডুরাস, কম্বোডিয়া, আইসল্যান্ড, ইয়েমেন, সেনেগাল ও সাইপ্রাসের মতো ৮৫ টি দেশের ২০২১ সালের জিডিপির চেয়েও বেশি। ব্লুমবার্গের তথ্য অনুযায়ী, তিনি বর্তমানে ভারতের ধনীতম ব্যক্তি। তাঁর পরেই স্থান রয়েছে রিলায়েন্স গোষ্ঠীর কর্তা মুকেশ আম্বানির। তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ ৮৫.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
বিনিয়োগের ক্ষেত্রে নতুন নতুন পন্থা গৌতম আদানিকে শিখরে পৌঁছিয়েছে বলে ধারণা করেন বিশেষজ্ঞরা। গৌতম রি-সাইকেলিং যোগ্য শক্তি, বিদ্যুৎ, বন্দর, বিমানবন্দর, পরিবহন, প্রতিরক্ষা সহ বিভিন্ন জায়গায় নিজের জয় পতাকা উড়িয়েছেন। সময়ের সাথে ব্যবসাগুলির চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে চোখে পড়ার মতো। সঠিক বিনিয়োগের ফলে চোখে পড়ার মতো সম্পদ বৃদ্ধি হয়েছে আদানি প্রধানের।