বাংলাহান্ট ডেস্ক: এক সময় বিশ্বের দ্বিতীয় ধনীতম ব্যক্তি ছিলেন গৌতম আদানি (Gautam Adani)। কিন্তু হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ বিতর্কের পর হুড়মুড়িয়ে পতন শুরু হয় তাঁর। অবশেষে এই মুহূর্তে ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় ২৩ নম্বরে রয়েছেন ভারতীয় এই ধনকুবের। বুধবার প্রকাশিত হয়েছে হুরুন বিশ্ব ধনী তালিকা ২০২৩। সেখান থেকেই এই তথ্য পাওয়া গিয়েছে। এই মুহূর্তে আদানির মোট সম্পত্তি ৫৩ বিলিয়ন ডলার। শুধু তাই নয়, এই তালিকায় প্রথম দশে রয়েছেন মাত্র একজন ভারতীয়। তিনি হলেন রিলায়্যান্স গ্রুপের চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানি (Mukesh Ambani)।
হুরুনের তালিকা অনুযায়ী, গত বছর প্রতি সপ্তাহে ৩০০০ কোটি টাকা হারিয়েছেন আদানি। মুকেশ আম্বানির সম্পত্তিতেও ২০ শতাংশ ঘাটতি হয়েছে। তবুও এই তালিকায় প্রথম দশে জায়গা করে নিয়েছেন এই ধনকুবের। তাঁর মোট সম্পত্তি এই মুহূর্তে ৮২ বিলিয়ন ডলার। হুরুন বিশ্ব ধনী তালিকায় নবম স্থানে রয়েছেন মুকেশ আম্বানি। গোটা তালিকায় আরও বেশ কিছু ভারতীয় ধনকুবেরের নাম রয়েছে। ভারতীয়দের মধ্যে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন সিরাম ইনস্টিটিউটের সাইরাস পুনাওয়ালা। তাঁর মোট সম্পত্তি ২৭ বিলিয়ন ডলার।
এরপর চতুর্থ স্থানে রয়েছেন শিব নাদার। তাঁর মোট সম্পত্তি ২৬ বিলিয়ন ডলার। তালিকায় এরপর রয়েছেন লক্ষ্মী মিত্তল, এসপি হিন্দুজা এবং তাঁর পরিবার, দিলীপ সংভি এবং তাঁর পরিবার, রাধাকিষণ দামানি, কুমার মঙ্গলম বিরলা এবং উদয় কোটাক। বিশ্ব তালিকায় মুকেশ আম্বানি রয়েছেন নবম স্থানে। গৌতম আদানি রয়েছেন ২৩ তম স্থানে। এরপর সাইরাস পুনাওয়ালা রয়েছেন ৪৬ তম স্থানে। শিব নাদার রয়েছেন ৫০ তম স্থানে এবং লক্ষ্মী মিত্তল রয়েছেন ৭৬ তম স্থানে।
হুরুনের এই তালিকা অনুযায়ী, ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম কোটিপতির জন্ম দেওয়া দেশ। বিশ্বের মোট ১৮৭ জন বিলিয়নেয়ার রয়েছেন ভারতে। এ বছর ১৬ জন নতুন কোটিপতির নাম তালিকায় যোগ হয়েছে। একইসঙ্গে ভারতীয় বংশোদ্ভুত কোটিপতির সংখ্যাও বেড়ে হয়েছে ২১৭। হুরুনের মতে, মুম্বইতে ৬৬ জন কোটিপতি থাকেন। এরপরেই রয়েছে নয়াদিল্লি। সেখানে থাকেন ৩৯ জন কোটিপতি। বেঙ্গালুরুতে থাকেন ২১ জন কোটিপতি।
তবে গোটা বিশ্বে কোটিপতির সংখ্যা কমেছে। বহু ধনকুবের অর্থ হারিয়েছেন। জানা গিয়েছে, ২০২৩-এ ধনকুবেরের সংখ্যা ৩৩৮৪ থেকে কমে হয়েছে ৩৩১২। রিপোর্ট অনুযায়ী, বিশ্বে মোট কোটিপতির সংখ্যা ৮ শতাংশ কমে গিয়েছে। তাঁদের মোট সম্পত্তিও কমেছে প্রায় ১০ শতাংশ। গত বছরের তুলনায় এ বছর কিছুটা ঘাটতি লক্ষ্য করা গিয়েছে। অন্যদিকে, প্রায় ১০৪৮ জন কোটিপতির মোট সম্পত্তি বৃদ্ধি পেয়েছে। এর মধ্যে ১৭৬ জন সদ্য কোটিপতি হয়েছেন। কিন্তু ২৪৭৯ জনের মোট সম্পত্তি কমে গিয়েছে।