বাংলার কাছে এই গ্রামে সোনার ভান্ডার! ব্রিটিশ আমলের খনির হদিশ মিলল, সাতসকালেই হইচই কাণ্ড

বাংলা হান্ট ডেস্ক: শিল্পের অভাবে ধুঁকছে বিহার (Bihar)। কিন্তু এরই মধ্যে একটি বড় খবর সামনে এল। বিহারের বাঙ্কায় হদিশ মিলল সোনার খনির। যা নিয়ে রীতিমতো চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার (GSI) দল ওই জেলার কাটোরিয়া ব্লকের লাকরামা পঞ্চায়েতের কারভাভ গ্রামে খননকাজ চালিয়েছিল। এই খননে সোনা-সহ আরও অনেক খনিজ পদার্থ পাওয়া গিয়েছে। এরপরই জিএসআই-এর তরফে ক্রমাগত সার্ভে এবং গবেষণা করা হচ্ছে।

এরপরই আরও তথ্য মিলেছে। জিএসআই বাঙ্কা জেলার জয়পুর থানা এলাকার চান্দে পট্টি গ্রামে সোনার পাথরের (Gold Stone) হদিশ পেয়েছে। এখানে সোনার খনি রয়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে। এই বিষয়ে জিএসআই টিম এখানে পৌঁছে খনন কাজ করছে এর পাশাপাশি এখানকার পরিস্থিতি নিয়েও গবেষণা করছেন বিজ্ঞানীরা।

আরও পড়ুন: অতি গভীর নিম্নচাপ! ২১ তারিখ পর্যন্ত চলবে ঝড়-বৃষ্টি, দক্ষিণবঙ্গের ৫ জেলায় জারি হাই অ্যালার্ট

স্থানীয়দের মতে, জিএসআই টিম গ্রামের বিভিন্ন স্থানে ৬টি গর্ত খনন করে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ল্যাবে নিয়ে গেছে। এরপরে, বোরিং পয়েন্ট থেকে প্রায় ২ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের জমি প্রতি ২০ ফুট পরপর একটি মেশিন দিয়ে পরীক্ষা করা হয় এবং ছোট খুঁটি পুঁতে চিহ্নিত করা হয়। ব্রিটিশ (British) আমলেও এই স্থানে গুপ্তধনের ভাণ্ডার খুঁজে পাওয়ার সম্ভাবনা ছিল বলে বলা হচ্ছে। স্থানীয় লোকজন বলছেন, ব্রিটিশ সরকার তখনও এখানে খননকাজ চালিয়েছিল। এখানে উপস্থিত আট থেকে ন’টি বড় গর্ত ব্রিটিশ সরকারের তরফে যে খনন কার্য হয়েছিল তা নিশ্চিত করছে।

These countries have the largest amount of gold stored in their treasuries

গত মে মাসে লাকরামা পঞ্চায়েতের অন্তর্গত কারওয়ার গ্রামে জিএসআই ৩২০ ফুট পর্যন্ত খনন করেছিল। অত্যাধুনিক মেশিন দিয়ে খনন করে ৩০টি পাথর বের করে তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। খননকৃত পাথরের নমুনায় কালো ও সোনালি পাথরও অন্তর্ভুক্ত ছিল। শুধু তাই নয়, সংলগ্ন এলাকা থেকেও নমুনা নেওয়া হয়েছে। এই এলাকা থেকে আরও প্রচুর পরিমাণে সম্পদ পাওয়া যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

Monojit

সম্পর্কিত খবর