বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ভোটের দিন সকাল থেকেই শিরোনামে রয়েছে ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায় (Hiran Chatterjee)। এদিন একাধিকবার বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন তিনি। আজ সকালে কেশপুরে গিয়ে তুমুল বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন হিরণ। বেলা বাড়ার পর ফের একবার সেখানে যান তিনি। এবার গিয়েও একই পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হল তাঁকে। এরপর নিজের গাড়িতে বসেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) আক্রমণ শানান পদ্ম নেতা।
আজ কেশপুরের (Keshpur) মুগবসান অঞ্চলে গিয়ে ‘চোর চোর’ স্লোগান শুনতে হয় হিরণকে। তাঁর গাড়ির সামনে প্রায় ৫০০ জন তৃণমূল কর্মী জটলা করেন। হিরণের গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো শুরু হয়। এরপর গাছের গুঁড়ি ফেলে রাস্তা আটকানো হয়। খড়ের মধ্যে আগুন জ্বালিয়ে দেন বিক্ষোভকারীরা। পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে কার্যত হিমশিম খেয়ে যান পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী। এমতাবস্থায় গাড়ি ঘুরিয়ে সেখান থেকে চলে যান বিজেপি (BJP) প্রার্থী।
তার আগে গাড়িতে বসে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তোপ দেগে হিরণ বলেন, ‘বাংলাকে দেখে নিন। পুরো পাকিস্তান বানিয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়’। এদিকে বিক্ষোভকারীরা বলেন, ‘আগে ১০০ দিনের কাজের টাকা পাঠান, তারপর এখানে আসবেন। এতদিন আপনি কোথায় ছিলেন? উনি তো জানেন যে আমি যদি যাই তাহলে পয়সা চাইবে। শান্তিপূর্ণ ভোট চলছে। হিরণ যদি আসেন তাহলে অশান্তি হবে’।
আরও পড়ুনঃ ‘তৃণমূলকে একদম সাফ করে দিয়েছি’! নন্দীগ্রামে কত লিড পাবেন অভিজিৎ? জানিয়ে দিলেন শুভেন্দু
ভোটের দিন সকাল থেকেই ঘাটালে একাধিকবার বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন হিরণ। কখনও তাঁর গাড়ি আটকে দেওয়া হয়, কখনও আবার তাঁর গাড়ির সামনে শুয়ে পড়েন তৃণমূল কর্মীরা। তৃণমূলের আবার অভিযোগ, বুথ দখল করার জন্য গতকাল খেড়ুয়াবালি গ্রামে বিজেপির গুণ্ডাবাহিনী ৩ জনের হাত ভেঙে দিয়েছে। বুথে পোলিং এজেন্টই বসানো যায়নি। যদিও হিরণ সন্ত্রাসের এই অভিযোগ মিথ্যে বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।
অন্যদিকে আবার আনন্দপুর থানার ওসির সঙ্গেও বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়তে দেখা যায় ঘাটালের পদ্ম প্রার্থীকে। হিরণ বলেন, আঙুল তুলে কথা বলবেন না। পাল্টা ওসি বলেন, আপনিও আমায় চমকাবেন না। ভোটের দিন সকাল থেকে একাধিকবার বিক্ষোভের মুখে পড়ে হিরণ বলেন, ‘পুলিশ, তৃণমূল কংগ্রেস, কেন্দ্রীয় বাহিনীর সেটিং। আমায় হারানোর জন্য একসঙ্গে নেমেছে। তবে মানুষ আমায় ভোট দিয়ে জয়ী করবে। মোদীজিকে জেতাবে। কারণ এটা মোদীজির ভোট’।