বাংলাহান্ট ডেস্ক : চা খেতে চেয়েছিলেন স্বামী। কিন্তু সেই চা দিতে দেরি হওয়ায় স্বামীর হাতে খুন হতে হল স্ত্রীকে। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদে। গাজিয়াবাদের এক ব্যক্তি তার স্ত্রীর গলা তলোয়ার দিয়ে কেটে খুন করেছেন। এই খুনের পেছনের চাঞ্চল্যকর তথ্য শুনলে আপনার বিস্ময়ের শেষ থাকবে না।
সকালবেলা স্ত্রী চা দিতে দেরি করেছিলেন। সেই রাগে স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা করলেন স্বামী। মৃতার আর্তনাদ শুনে অন্যান্য ঘর থেকে ছেলেমেয়েরা এসে দেখেন যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন ওই মহিলা। এরপর ওই ব্যক্তি ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। যদিও অভিযুক্তকে পরবর্তীকালে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তোলপাড় শুরু হয় গোটা এলাকায়।
আরোও পড়ুন : গোলাপ তো অনেক হল! এবার জারবেরা চাষ করেই হবেন মালামাল, জেনে রাখুন সঠিক পদ্ধতি
সূত্রের খবর, গাজিয়াবাদের ভোজপুর এলাকার ফজলগড় গ্রামের বাসিন্দা সুন্দরী নামের এক গৃহবধূ গত ১৯শে ডিসেম্বর সকাল ছটা নাগাদ রান্নাঘরে চা তৈরি করেছিলেন। সেই সময় তার স্বামী তাকে দ্রুত চা পরিবেশন করতে বলেন। কিন্তু চা পরিবেশন করতে কিছু মিনিট দেরি হওয়ায় মাথায় রাগ উঠে যায় অভিযুক্তর।
আরোও পড়ুন : মাসে ২ হাজার করে জমালে ৫ বছর পর মিলবে প্রায় ২ লক্ষ! এখানে বিনিয়োগ করলে হয়ে যাবেন লাখপতি
এরপর সুন্দরীর স্বামী তলোয়ার দিয়ে তাকে ১৫ বার কোপায়। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় সুন্দরীর। অভিযুক্তর ছেলে জানিয়েছেন, দিনে পাঁচ-ছবার করে চা খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে বাবার। মা যদি চা তৈরি করতে দেরি করত তাহলে চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করতেন বাবা। তবে এই কারণে কখনো দেখিনি মায়ের গায়ে বাবাকে হাত তুলতে।
গাজিয়াবাদের ডিসিপি গ্রামীণ বিবেক যাদব জানিয়েছেন, ওই দিন সকাল ছটায় সুন্দরী দেবী চা বানাচ্ছিলেন। ঘুম থেকে ওঠার পর তার স্বামী অভিযুক্ত ধরমবির চা চান। কিছু সময় কেটে গেলে ধরমবির রান্নাঘরে গিয়ে জানতে পারেন আরো ১০ মিনিট সময় লাগবে চা তৈরি করতে। এরপর রাগে ধরমবির রান্নাঘরের সব বাসন লাথি মেরে ফেলে দেন।
এরপর ধরমবির নিচে এসে তলোয়ার নিয়ে স্ত্রীর উপর হামলা করেন। পুলিশ জানিয়েছে অভিযুক্তর ছেলেই পুলিশকে খবর দেয়। তারপর ধরমবিরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে IPC-এর ৩০২ (হত্যা) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এখন দোষীর কঠোর থেকে কঠোরতর শাস্তির দাবি করছেন সকলেই।