বাংলাহান্ট ডেস্ক : ১১০ কিলো ওজনের কই ভোলা মাছ ধরা পড়ল মৎস্যজীবীদের জালে। দিঘার (Digha) বাজারে বিশাল আকৃতির এই মাছকে ঘিরে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে। দিঘার মৎস্য নিলাম কেন্দ্রে মঙ্গলবার এই কই ভোলাকে নিলামে তোলা হয়। নিলামে প্রায় ২৫ হাজার টাকা দাম উঠেছে এই মাছটির।
মৎস্য ব্যবসায়ীদের কথায়, এই মাছটি রপ্তানি করা হবে বাংলাদেশে। মৎস্যজীবীরা জানাচ্ছেন এই ধরনের মাছ খুব একটা পাওয়া যায় না। কই ভোলা গভীর সমুদ্রের মাছ। ফলে খুব কম এই মাছ ধরা দেয় মৎস্যজীবীদের জালে। এর আগেও দিঘায় বিশাল আকৃতির ভোলা মাছ ধরা পড়েছিল মৎস্যজীবীদের জালে। সেই ধরা পরা ভোলা মাছটির ওজন ছিল প্রায় ১৭৫ কিলো।
আরোও পড়ুন : পুজোর আগেই লক্ষ্মীলাভ! রাজ্য সরকারের বড় পদক্ষেপ, এই সব কর্মচারীরা পাবেন বড় অঙ্কের বোনাস
এপার বাংলাতেও এই মাছের অনেক ভক্ত রয়েছে। খাদ্য রসিকদের কাছে এই মাছ খুবই প্রিয়। মৎস্য ব্যবসায়ী অসীম কুন্ডু জানাচ্ছেন, “সাধারণত গভীর সমুদ্রে পাওয়া যায় এই কই ভোলা। ঝুঁকি নিয়ে যেসব মৎস্যজীবীরা গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যান তারাই এই মাছ পান। আবার সব সময় যে এই মাছ শিকার করা যায় তাও নয়। এই মাছ খুব কম মেলে।”
আরোও পড়ুন : ‘উনি ইসলামিক সংগঠনের জন্য কাজ করেন’, অভিষেকের প্রাণ সংশয় প্রসঙ্গে বিস্ফোরক সুকান্ত
ব্যবসায়ীদের দাবি এই মাছের বাংলাদেশের বাজারে বেশি দাম থাকায় সেখানেই রপ্তানি করে দেওয়া হয়। এই ব্যবসায়ী আরো জানিয়েছেন, “১১০ কিলো ওজনের কই ভোলা এসেছিল দিঘার বাজারে। ২৫ হাজার টাকা দিয়ে এই মাছ কেনা হয়েছে পাইকারি বাজারে। বাংলাদেশে এই মাছের অনেক চাহিদা ও দাম রয়েছে। তাই ব্যবসায়ীরা এই ধরনের মাছ বাংলাদেশে রপ্তানি করে দেন।”
দিঘার মৎস্যজীবীরা জানাচ্ছেন, গত বছর ইলিশ মাছের দেখা না মিললে এ বছর দিঘায় কিছুটা হলেও ধরা পড়েছে ইলিশ। কিন্তু তা খুবই সামান্য। তাই ভরসা করতে হচ্ছে অন্যান্য মাছের উপর। জ্বালানির দাম ও অন্যান্য খরচ বেড়ে যাওয়ায় ট্রলারগুলি বেশ ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। তাই তেলিয়া ভোলা বা কই ভোলা জাতীয় মাছ ধরা পড়লে কিছুটা হলেও ক্ষতিপূরণ হয়।