মেয়ের প্রাণভিক্ষা চেয়ে মন্ত্রীর পা ধরেছিলেন বাবা-মা! সব বিফলে…মৃত্যু হল বছর তেরোর সুপ্রিয়ার

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শেষরক্ষা হল না। মেয়ের প্রাণ ভিক্ষা চেয়ে মন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদা (Minister Birbaha Hansda) কাছে পেয়ে পায়ে লুটিয়ে পড়েছিলেন অসহায় মা-বাবা। তাদের কাতর আর্তি শুনে মন্ত্রীও আশ্বাস দিয়েছিলেন, তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা করবেন। তবে বাঁচানো গেল না মেয়েটিকে! রবিবার রাতে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের (Medinipur Medical College) বেডে শুয়েই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ল বছর তেরোর সুপ্রিয়া রায়।

চিকিৎসকেরা আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন অবস্থা ভাল নয় সুপ্রিয়ার। ওদিকে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে রবিবার সকাল থেকেই উত্তাল ছিল হাসপাতাল চত্বর। রবিবার অন্য কয়েকজন রোগীকে দেখতে হাসপাতালে পৌঁছান মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা। মন্ত্রীকে দেখে তার হাত-পা ধরে মেয়ের সুচিকিৎসার আর্জি জানায় নাবালিকার পরিবার। তাদের অভিযোগ ছিল মেয়ের চিকিৎসায় গাফিলতি করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। মন্ত্রী গোটা বিষয়ে হস্তক্ষেপ করলেও মেয়েকে ফেরাতে পারল না অসহায় পরিবার।

আরও পড়ুন: টাকা গুনতে গুনতে অতিষ্ট ব্যাঙ্ক কর্মীরাও! কং সাংসদ ধীরজ সাহুর কাছ থেকে কত কোটি উদ্ধার হল জানেন?

প্রসঙ্গত, অ্যাপেনডিক্সের (Appendix) যন্ত্রণা নিয়ে শুক্রবার মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ওই নাবালিকাকে। শুক্র ও শনিবার মিলিয়ে দুবার অস্ত্রোপচার হয়। তবে তারপরও ক্রমশ্য খারাপ হচ্ছিল পরিস্থিতি। তৎক্ষণাৎ আইসিইউতে (ICU) রাখা হয় সুপ্রিয়াকে। রবিবার সকালে অবস্থা আরও আশঙ্কাজনক হয়। খবর পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়ে পরিবার।

minister birbaha

মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই চালিয়ে গিয়েও শেষ পর্যন্ত হেরে গেল সুপ্রিয়া। রবিবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ মৃত্যু হয় তাঁর। নাবালিকার মৃত্যুর পর রবিবার রাতে হাসপাতালে বিক্ষোভ শুরু করে মৃতার পরিবার, প্রতিবেশিরা। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, চিকিৎসায় কোনও গাফিলতি হয়নি। অ্যাপেনডিক্সের ব্যথায় শারীরিক অবস্থা খারাপ হতে থাকার কারণেই অস্ত্রোপচার সত্ত্বেও তাঁকে বাঁচানো যায়নি।

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর