কেষ্টর কালী মূর্তির জন্য রাখা ছিল ৫৬০-৫৭০ ভরির অলংকার! এখন সেসব কোথায়? জানলে ‘থ’ হবেন

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সে এক ছিল কোনও সময়, যখন বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) নিজের হাতে ভরি ভরি সোনার গয়না দিয়ে নিজের বাড়িতে বাড়িতে পুজো হওয়া কালী মূর্তিকে সাজাতেন। তবে এখন সেসব কই! ২০২২ সালের অগাস্ট মাসে গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হন অনুব্রত। বর্তমানে তার ঠিকানা হয়েছে দিল্লির তিহাড় জেল। সেখানেই গারদবন্দি রয়েছেন তিনি। ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন তার মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলও। তারও ঠিকানা সেই তিহাড়।

অনুব্রত গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই সেই পুজোর জৌলুস ক্রমশ্য ম্লান। সবকিছু যখন স্বাভাবিক ছিল তখন অনুব্রত নিজে হাতে কালী মূর্তি (Kali Pujo) সামনে বসে গয়না পরাতেন। তবে ২২ থেকেই সেই চিত্র বদলে যায়। গতবছর দেখা গিয়েছিল কেবল নামমাত্র গহনা দিয়ে সাজানো হয়েছিল সেই কালী প্রতিমাকে। আর এ বছর আরও কমল কেষ্টর বাড়ির তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ের কালী প্রতিমার গয়নার পরিমাণ।

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের কালীপুজোর সময় অনুব্রত মণ্ডলের কালী প্রতিমাকে ৩৬০-৩৭০ ভরি গয়না দিয়ে সাজানো হয়েছিল। ২০২১ সালে সেই অলংকারের পরিমাণ এক লাফে বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ৫৬০-৫৭০ ভরিতে। যার বাজার মূল্য মোটামুটি তিন কোটি টাকারও বেশি। তবে এবার নাকি সোনার বদলে ইমিটেশনের গয়না পরানো হয়েছে কেষ্টর কালী প্রতিমাকে। এমনটাই শোনা যাচ্ছে।

আরও পড়ুন: চরম বদলে যাবে আবহাওয়া! শীতকে ধাক্কা দিয়ে তুমুল বৃষ্টি হবে দক্ষিণবঙ্গের ৭ জেলায়, ওয়েদার আপডেট

kalipujo 2

তবে সেই ৫৬০-৫৭০ ভরি গয়না… সেগুলো এখন কোথায়? সূত্রের খবর, গত বছর অনুব্রত গ্রেফতার হওয়ার পরই সিবিআইয়ের নজরে আসে কেষ্টর মা কালীর জন্য বানানো গয়নাও। এই বিপুল পরিমাণ গয়নার উৎস কী তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই এর গোয়েন্দারা।

যেসকল স্বর্ণ ব্যবসায়ী এই গয়না বানানো বা কেনা-বেচার সাথে জড়িত ছিলেন তাদের দেখেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। তাই এবারে আরও জৌলুসহীন কেষ্টর পুজো। যে পুজোর মূল আকর্ষণ ছিল কয়েকশো ভরি সোনার গয়না, যা দেখতে দূরদুরান্ত থেকে ভক্তরা আসতেন, সেই পুজো এখন হচ্ছে ইমিটেশনের গয়না দিয়ে। যদিও তৃণমূলের পক্ষ এই গয়নার বিষয় নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর