বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে যেখানে কর্মব্যস্ত জীবনে অর্থ উপার্জনের লালসায় ছুটছেন সবাই, ঠিক সেই আবহেই বিপুল বেতনের চাকরি থেকে অবসর নিয়ে সম্পূর্ণ ভিন্ন পথ বেছেছিলেন তিনি। আর সেই কারণেই প্রথাগতভাবে জীবনযাপন না করে আধ্যাত্মিকতাকে সঙ্গী করে সন্ন্যাস নিয়ে নেন IIT দিল্লির (IIT Delhi) গোল্ড মেডেলিস্ট (Gold Medalist) ওই ইঞ্জিনিয়ার। শুনতে অবাক মনে হলেও, এই ঘটনা কিন্তু একদম সত্যি। পাশাপাশি, ইতিমধ্যেই ওই সন্ন্যাসীর একটি ভিডিও ভাইরাল (Viral) হতে শুরু করেছে সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media)।
জানা গিয়েছে, বিহারের বাসিন্দা সন্দীপ কুমার ভাট ২০০২ সালে IIT দিল্লি থেকে B.Tech করেন। পাশাপাশি, সেই সময় তিনি স্বর্ণপদকও পান। তারপরেই ২০০৪ সালে M.Tech করে তিনি মোটা বেতনের চাকরি পেয়ে যান। কিন্তু মাত্র ২৮ বছর বয়সেই তিনি চাকরিজীবন থেকে অবসর গ্রহণ করেন। মূলত, ২০০৪ থেকে ২০০৭ সালের মধ্যে, তিনি Larsen and Turbo কোম্পানিতে একজন ম্যানেজার হিসেবে কাজ করেছিলেন। তবে, ২০০৭ সালে তিনি সন্ন্যাসের পথ অবলম্বন করেন। পাশাপাশি, সন্ন্যাসী হওয়ার পর তাঁর নাম হয় স্বামী সুন্দর গোপাল দাস (Swami Sundar Gopal Das)।
“ব্যস্ত জীবনে সাধু-সন্ন্যাসীদের সঙ্গ আবশ্যক”: তিনি বলেন, বর্তমানে মেশিনের গুণমান বাড়লেও মানুষের মান কমছে। প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ অপরাধ সংঘটিত হয়। আর এটাই প্রমাণ করে যে মানুষের মান নষ্ট হচ্ছে। তাঁর মতে, “আমি বিশ্বাস করি শিক্ষিতদের সাধু-সন্ত হওয়া উচিত। সমাজে ভালো কিছুর প্রসার ঘটাতে হলে এই ধরণের মানুষদের এগিয়ে আসতে হবে।”
এছাড়াও তিনি বলেন যে, বর্তমানে সমাজে অনেক ইঞ্জিনিয়ার, ডাক্তার, IAS, বিচারক, বিজ্ঞানী কিংবা রাজনৈতিক নেতাকে খুঁজে পাবেন। কিন্তু এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া যাবে না যাঁর উদ্দেশ্য সমাজকে ভিন্ন পথ দেখানো বা মানুষের চরিত্র গঠন করা। সমস্ত মানুষ বস্তুগত সুখের পিছনে ছুটছেন। এমতাবস্থায়, তিনি বিশ্বাস করেন যে সমাজের নিরাময়ের একমাত্র উপায় হল, “ধর্মীয় শিক্ষা”। পাশাপাশি, কোনো বিপথে যাওয়া ব্যক্তিকে সংশোধন করাটাই সবচেয়ে বড় কাজ বলে মনে করেন তিনি।
পরিবারের প্রতিক্রিয়া কি ছিল: এই প্রসঙ্গে সন্দীপ ভট্ট ওরফে গোপাল দাসকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান যে, তাঁর পরিবারের সদস্যরাও প্রথমে তাঁর এই সিদ্ধান্ত শুনে অবাক হয়ে যান। যদিও, তিনি তাঁদের বোঝাতে সক্ষম হন। তিনি জানান, স্নাতকের দিনগুলিতে IIT দিল্লিতে তিনি ভগবত গীতা পড়েছিলেন, যা তাঁর জীবনে দুর্দান্ত প্রভাব ফেলেছিল।