বাংলাহান্ট ডেস্ক : যুগ যুগ ধরে সোনা পৃথিবীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি ধাতু। হীরের পরই সোনার (Gold) অবস্থান। চাহিদা অনুযায়ী সোনার জোগান কম থাকায় এর দাম বরাবরই বেশি। সবথেকে বেশি সোনা পাওয়া যায় এশিয়া ও আফ্রিকা মহাদেশে। জানলে অবাক হবেন আমাদের দেশ ভারতেও প্রচুর পরিমাণ সোনা উত্তোলন করা হয়। গোটা পৃথিবীতে সব থেকে বেশি সোনা উত্তোলন হয় চীনে।
পৃথিবীতে সোনার আবিষ্কার হয়েছিল আজ থেকে প্রায় পাঁচ হাজার বছর আগে। মূল্যবান ধাতু হওয়ার পাশাপাশি সোনা পৃথিবীর অন্যতম পুরনো ধাতু। এছাড়াও কোনও দেশের অর্থনৈতিক বিকাশে সোনা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। যে দেশের কাছে যত পরিমাণ বেশি সোনা গচ্ছিত রয়েছে, সেই দেশ অর্থনৈতিক দিক থেকে ততটাই বলবান।
একটা সময় ভারতকে সোনার পাখি বলে ডাকা হতো। এই নামকরণের পেছনে ছিল অজস্র কারণ। ১৭৩৯ সালে ইরানের শাসক নাদির শাহ দিল্লি আক্রমণ করে প্রচুর পরিমাণে সোনা নিজের দেশে নিয়ে যান। এরপরে সেই দেশের অর্থনীতি এতটাই সম্মৃদ্ধ হয় যে তিন বছর ওই দেশের কাউকে কর দিতে হয়নি। অন্যদিকে নিজের জন্য একটি সোনার সিংহাসন তৈরি করেন মুঘল সম্রাট শাহজাহান।
আবার ব্রিটিশ আমলেও প্রচুর পরিমাণ সোনা ব্রিটিশরা এদেশ থেকে লুণ্ঠন করে। এই কয়েকটা ঘটনা থেকেই পরিষ্কার যে ভারতবর্ষে একটা সময় বিপুল পরিমাণ সোনা মজুত ছিল। ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের একটি রিপোর্টে অনুযায়ী, পৃথিবীতে সোনা আবিষ্কারের পর থেকে এখনো পর্যন্ত ভারতবর্ষে মোট দু লক্ষ টন পর্যন্ত সোনা উত্তোলন করা হয়েছে।
গোটা ভারতের মধ্যে কর্নাটকে সবথেকে বেশি সোনা উত্তোলন করা হয়। কর্নাটকের কোলার স্বর্ণ খনি, হুট্টি গোল্ড ফিল্ড ও উটি খনি থেকে মোটা পরিমান সোনা উত্তোলন হয়। অন্ধ্রপ্রদেশ এবং ঝাড়খণ্ড রাজ্যের হিরাবুদ্দিনী এবং কেন্দ্রুকোচা খনি দেশের মধ্যে অন্যতম প্রসিদ্ধ সোনার খনি। একটি তথ্য অনুযায়ী, ভারতবর্ষে প্রতিবছর প্রায় ১.৬ টন সোনার খনন করা হয়।
আমাদের দেশে বার্ষিক ৭৭৪ টন সোনা ব্যবহার করা হয়। প্রতিবছর প্রায় তিন হাজার টন সোনা উত্তোলন হয় গোটা পৃথিবী থেকে। একটি সমীক্ষা থেকে জানা যায়, ভারতের নারীদের কাছে মজুত রয়েছে প্রায় ২১ হাজার টন সোনা। এই হিসাব থেকে আরো জানা যায় যে বিশ্বের শীর্ষ পাঁচটি ব্যাংকের কাছেও এতো পরিমান সোনা জমা নেই যত সোনা ভারতীয় নারীদের কাছে রয়েছে।
‘ভারত আজ পর্যন্ত অলিম্পিকে সোনা পায়নি …’ ভরা মঞ্চে বেফাঁস মমতা