বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ খবর সামনে এসেছে। এমনিতেই কয়েকদিন আগে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সাতটি মাল্টি-ট্র্যাকিং প্রোজেক্টের কথা ঘোষণা করেছিলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব (Ashwini Vaishnaw)। যেটির জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে মোট ৩২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এমতাবস্থায়, রেল মন্ত্রকের সবুজ সঙ্কেতে এবার হাওড়া (Howrah) থেকে চেন্নাই (Chennai) রুটে যাতায়াতের সময় অনেকটাই কমতে চলেছে বলে জানা গিয়েছে।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ইতিমধ্যেই চেন্নাই থেকে হায়দ্রাবাদ এবং কটক-ভিজিয়ানাগ্রাম রুটে দু’টি মাল্টি-ট্র্যাকিং প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে রেলমন্ত্রকের তরফে। যার সরাসরি প্রভাব পড়বে হাওড়া-চেন্নাই রুটে। উল্লেখ্য যে, চাকরি থেকে শুরু করে চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়ে বিপুল সংখ্যক মানুষ হাওড়া থেকে চেন্নাইগামী ট্রেনে সফর করেন। এমতাবস্থায়, মোট ১,৫০০ কিমিরও বেশি ওই পথ পার করতে সময় লেগে যায় প্রায় ২৬ থেকে ২৮ ঘণ্টা। তবে, রেলের এই নয়া পরিকল্পনার জেরে এবার হাওড়া-চেন্নাই রুটে সফরের সময় অনেকটাই কমবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, নতুন এই পরিকল্পনার মাধ্যমে চেন্নাই-হায়দরাবাদ রুটে শুরু হওয়া বন্দে ভারতের মতো সেমি হাইস্পিড ট্রেনের যাত্রীদের পাশাপাশি মাল্টি-ট্র্যাকিংয়ের ফলে সংশ্লিষ্ট রুটে সফরের ক্ষেত্রে প্রতিটি দূরপাল্লার ট্রেনেরই বেশ খানিকটা সময় বেঁচে যাবে।
আরও পড়ুন: চরম ভোগান্তি! শিয়ালদহ লাইনের এই ট্রেন থেকে তুলে দেওয়া হল প্রথম শ্রেণির কামরা, বিজ্ঞপ্তি জারি রেলের
এদিকে, রেলমন্ত্রীর ঘোষণা করা সাতটি মাল্টি-ট্র্যাকিং প্রোজেক্টের মধ্যে অন্যতম হল কটক-ভিজিয়ানাগ্রাম রুট। মোট ২ টি ধাপে এই কাজ হবে। যার মধ্যে নারগুন্ডি থেকে বরাং পর্যন্ত ২২ কিলোমিটার দীর্ঘ অংশে নতুন লাইন পাতার কাজ সম্পন্ন হবে। তারপর খুরদা রোড থেকে ভিজিয়ানাগ্রাম পর্যন্ত মোট ৩৬৩ কিলোমিটার দীর্ঘ অংশে ডাবলিংয়ের কাজ হবে বলেও জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: ৫৫ বছর ধরে ট্রেনে ছিল না কোনো টয়লেট! এই চিঠিটি পাওয়ার পরেই টনক নড়ে রেলের, শুরু হয় সেই সুবিধা
এমতাবস্থায়, রেলের আধিকারিকরা মনে করছেন যে, ভদ্রক-ভিজিয়ানাগ্রাম শাখার এই অংশটি রেলপথের মাধ্যমে কলকাতাকে চেন্নাইয়ের সঙ্গে যুক্ত করার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি এই অংশে মাল্টি-ট্র্যাকিংয়ের কাজের ফলে শুধু যাত্রিবাহী ট্রেন ছাড়াও মালগাড়ি চলাচলেও সুবিধা মিলবে। এদিকে, চেন্নাই-হায়দরাবাদ রুটের গুন্টুর-বিবিনগর লাইনে লাইনে ২৩৯ কিলোমিটার পথে মাল্টি-ট্র্যাকিংয়ের ফলে চেন্নাই ও হায়দ্রাবাদের মধ্যে চলাচল করা ট্রেনগুলিকে ৭৬ কিমি কম দূরত্ব অতিক্রম করতে হবে বলে জানা গিয়েছে।