বাংলা হান্ট ডেস্ক: মহাকাশে পাড়ি দেওয়া সকলেরই স্বপ্ন থাকে। কিন্তু এমন ভাগ্যবান মানুষ খুব কমই আছেন যাঁদের এই স্বপ্ন পূরণ হয়। এক্ষেত্রে পাইলট গোপীচাঁদ অত্যন্ত ভাগ্যবান। মূলত, গোপীচাঁদ থোটাকুরা (Gopichand Thotakura) পর্যটক হিসেবে মহাকাশে যাওয়া প্রথম ভারতীয় (Indian) হতে প্রস্তুত। গোপীচাঁদকে ব্লু অরিজিনের নিউ শেফার্ড-২৫ (এনএস-২৫) মিশনের ক্রু মেম্বার হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে। এমতাবস্থায়, তিনি পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল ছাড়িয়ে বাকি পাঁচজনের সাথে ভ্রমণ করবেন।
জানিয়ে রাখি যে, গোপীচাঁদ হলেন একজন উদ্যোক্তা এবং পাইলট। যিনি ৩১ জন প্রার্থীর একটি মর্যাদাপূর্ণ তালিকায় যোগদান করেছেন। প্রথম দিন থেকেই গোপীচাঁদের আকাশে ওড়ার প্রতি প্রচণ্ড উৎসাহ ছিল। এই আবেগের কারণে তিনি প্লেন চালানো শিখেছিলেন। পাশাপাশি, তিনি এম্ব্রি-রিডল অ্যারোনটিক্যাল ইউনিভার্সিটি থেকে অ্যারোনটিক্যাল সায়েন্সে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।
https://twitter.com/blueorigin/status/1775918473660469440?ref_src=twsrc%5Etfw%7Ctwcamp%5Etweetembed%7Ctwterm%5E1775918473660469440%7Ctwgr%5E7374e210fc3f0fc192503daf992d4d5df47c5759%7Ctwcon%5Es1_&ref_url=https%3A%2F%2Fndtv.in%2Findia%2Fgopichand-thotakura-will-become-the-first-indian-tourist-to-go-to-space-5424577
তাঁর প্রসঙ্গে ব্লু অরিজিন্স লিখেছে, “গোপী একজন পাইলট এবং বিমানচালক। যিনি গাড়ি চালানোর আগেই উড়তে শিখেছিলেন। গোপী বুশ, অ্যারোবেটিক এবং সীপ্লেনের পাশাপাশি একজন গ্লাইডার এবং হট এয়ার বেলুন পাইলট। এছাড়াও, একজন আন্তর্জাতিক মেডিকেল জেট পাইলট হিসেবেও তিনি ‘কাজ করেছেন’। তাঁর সাম্প্রতিকতম দুঃসাহসিক কাজ তাঁকে কিলিমাঞ্জারো পর্বতের চূড়ায় নিয়ে গেছে।” উল্লেখ্য যে, NS-25 মিশন একটি নতুন যুগের সূচনা করে।
আরও পড়ুন: সূর্যগ্রহণও হবে ইচ্ছে অনুযায়ী! অসম্ভবকে সম্ভব করে ESA-র স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের পথে ISRO
ব্লু অরিজিন্স এক বিবৃতিতে বলেছে, “নতুন শেফার্ডের ইঞ্জিন অত্যন্ত তরল অক্সিজেন এবং হাইড্রোজেন দ্বারা চালিত হয়। উড়ানের সময়ে কোনো কার্বন নিঃসরণ হয় না।” তবে, এই মিশনের উৎক্ষেপণের তারিখ এখনও ঘোষণা করা হয়নি। এই মিশনে প্রাক্তন এয়ার ফোর্স ক্যাপ্টেন এড ডোয়াইটও রয়েছেন। যাঁকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি ১৯৬১ সালে দেশের প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ মহাকাশচারী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত করেছিলেন। কিন্তু তাঁকে কখনই মহাকাশে ওড়ার সুযোগ দেওয়া হয়নি।
আরও পড়ুন: এক বন্ধুর জন্য আরেক বন্ধুকে ত্যাগ করছে পাকিস্তান? ফের বড় সঙ্কট ডেকে আনছে পড়শি দেশ
এদিকে, কোম্পানিটি বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে নিউ গ্লেন নামে একটি ভারী রকেটও তৈরি করছে। যার প্রথম উড়ান আগামী বছরের জন্য নির্ধারিত হয়েছে। এই ৯৮ মিটার (৩২০ ফুট) উচ্চ রকেটটি পৃথিবীর নিম্ন কক্ষপথে ৪৫ মেট্রিক টন পর্যন্ত পেলোড বহন করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।