বাংলাহান্ট ডেস্ক: গত কয়েক সপ্তাহ ধরে টিআরপি তালিকায় বেশ নড়বড়ে অবস্থা জি বাংলার। এক সময় গোটা তালিকা জুড়েই দাপট দেখিয়েছে এই চ্যানেল কিন্তু সম্প্রতি চ্যানেলের একের পর এক মহারথীরা মুখ থুবড়ে পড়ছে। এমনকি আসন টলেছে রেকর্ডধারী ‘মিঠাই’য়েরও (Mithai)। তাই গড় সামলাতে মরিয়া জি বাংলা।
পরপর দুটি নতুন সিরিয়ালের ঘোষনা করেছে এই জনপ্রিয় চ্যানেল, যার মধ্যে অন্যতম ‘গৌরী এল’ (Gouri Elo)। ‘এই পথ যদি না শেষ হয়’ সিরিয়ালের পরিচালক স্বর্ণেন্দু সমাদ্দারের পরিচালনা এবং প্রযোজনায় খুব শীঘ্রই শুরু হতে চলেছে এই নতুন সিরিয়াল। ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে প্রথম প্রোমো। মিশ্র প্রতিক্রিয়া পেয়েছে সিরিয়ালের প্রথম ঝলক। বা বলা ভাল ট্রোলই বেশি হয়েছে।
এখনো পর্যন্ত সম্প্রচারের সময় ঘোষনা হয়নি ‘গৌরী এল’র। তবে দর্শক মহলে জল্পনার অন্ত নেই। নতুন সিরিয়াল মানেই কোনো একটি পুরনো সিরিয়ালের ঘাড়ে কোপ, এমনটা চলে আসছে বহুদিন ধরে। গৌরী এলও তার ব্যতিক্রম নয়। শোনা যাচ্ছে, প্রাইম স্লটে সম্ভবত দেখানো হবে এই সিরিয়ালটিকে। সেক্ষেত্রে পুরনো সিরিয়ালগুলির মধ্যে রয়েছে যমুনা ঢাকি ও মিঠাই।
এর মধ্যে টিআরপি কম যমুনার। বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরেই তালিকার একেবারে তলানিতে জায়গা হচ্ছে এক সময়কার এই জনপ্রিয় সিরিয়ালের। তাই হয়তো যমুনাকে সরিয়ে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় দেওয়া হবে নতুন সিরিয়াল ‘গৌরী এল’কে। অন্যদিকে যমুনাকে সরিয়ে রাখা হবে রাত আটটায়।
তাহলে ‘মিঠাই’ এর কী হবে? উঠছে প্রশ্ন। আবার এও শোনা যাচ্ছে, রাত সাড়ে দশটায় শেষ হচ্ছে ‘জীবন সাথী’। তাই সেই সময়েও রাখা হতে পারে গৌরী এল কে। জল্পনা অব্যাহত থাকলেও এখনো পর্যন্ত চ্যানেলের তরফে কোনো ঘোষনা করা হয়নি।
প্রসঙ্গত, গৌরী এলর প্রোমো দেখে বেশিরভাগেরই দাবি, দেখে মনে হচ্ছে মিঠাই ও ত্রিনয়নীর গল্প মিলিয়ে মিশিয়ে বানানো হয়েছে সিরিয়াল। কারণ ‘গৌরী এল’র প্রোমোর সঙ্গে মিঠাইয়ের প্রোমোর অদ্ভূত মিল। আবার ত্রিনয়নীতে নায়িকার যেমন বিশেষ ক্ষমতা ছিল, নতুন সিরিয়ালের প্রোমো দেখে মনে হচ্ছে এখানেও গৌরীর বিশেষ ক্ষমতা রয়েছে।
অনেকের দাবি, নতুন শুরু হওয়া ‘পিলু’র প্রোমোও মিঠাইকে নকল করেই বানানো হয়েছিল। যদিও পরিচালক স্বর্ণেন্দুর দাবি, মিঠাই বা ত্রিনয়নী কোনোটার মতোই হবে না এই সিরিয়াল। থাকবে অন্য স্বাদের গল্প। নায়িকার চরিত্রে থাকছেন নবাগতা মোহনা। পিলুর মেঘা দাঁ এর মতোই তিনিও ডান্স বাংলা ডান্সের প্রতিযোগী ছিলেন। নায়কের ভূমিকায় বিশ্বরূপ চট্টোপাধ্যায়।