সীমান্তে বাড়ছে ভিড়! শরণার্থীদের জন্য দরজা খুলবে ভারত? বিরাট সিদ্ধান্ত দিল্লির!

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আন্দোলনের জেরে বর্তমানে টালমাটাল পরিস্থিতি বাংলাদেশে। বৃহস্পতিবার পালাবদলের সাক্ষী থেকেছে ওপার বাংলা। বঙ্গভবনে শপথ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এদিকে গত কয়েকদিন ধরেই সীমান্তে বাড়ছে বাংলাদেশিদের ভিড়। এবার শোনা গেল, শরণার্থীদের জন্য দরজা খোলা হবে নাকি হবে না তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার (Government of India)।

শরণার্থীদের জন্য কী সিদ্ধান্ত নিল দিল্লি (Government of India)?

বঙ্গ বিজেপির তরফ থেকে ইতিমধ্যেই হিন্দু শরণার্থীদের জন্য ভারতের দরজা খোলার কথা বলা হয়েছে। শেখ হাসিনার পদত্যাগের পরেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছিলেন, এই অশান্তির কারণে ওপার বাংলা থেকে প্রায় ১ কোটি শরণার্থী এদেশে চলে আসতে পারেন। বিশেষত পশ্চিমবঙ্গে ঠাঁই নিতে পারেন। বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্যও ওপার বাংলায় অত্যাচারিত হিন্দুদের পাশে মানবিক মুখ নিয়ে দাঁড়ানোর কথা বলেছিলেন। তবে আপাতত দরজা খুলতে নারাজ সাউথ ব্লক (South Block)।

   

বিজেপি রাজ্য নেতৃত্বের কথায়, ধর্মীয় উৎপীড়নের কারণে কোনও হিন্দু যদি বাংলাদেশ (Bangladesh Immigrants) থেকে পালিয়ে এদেশ আসতে চান, বিশেষত পশ্চিমবঙ্গে আসতে চান, তাহলে সিএএ-তে তাঁদের নাগরিকত্ব দেওয়ার ব্যাপারটা খতিয়ে দেখা হোক। তবে এই বিষয়ে দিল্লি একেবারে ভিন্ন অবস্থানে রয়েছে বলে খবর।

আরও পড়ুনঃ লক্ষ্মীর ভাণ্ডার অতীত! এবার মিলবে কড়কড়ে ৫০০০ টাকা! দুর্দান্ত প্রকল্প রাজ্য সরকারের

এই বিষয়ে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘যে কোনও সরকারের দায়িত্ব হল তাঁদের নাগরিকদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা। বাংলাদেশ সরকারেরও দায়িত্ব হবে প্রথমে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে শরণার্থীদের মনে আস্থা ফেরানো’। সাউথ ব্লকের তরফ থেকে কার্যত স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে, বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে এদেশে হিন্দুদের আসার ঢল নামলেও সীমান্তের খোলা হবে না।

সীমান্ত খুলে দেওয়া হলে বেশ কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এর ফলে পশ্চিমবঙ্গে ওপর প্রচুর জনসংখ্যার চাপ পড়বে। পরবর্তীতে কেন্দ্র (Government of India) এবং রাজ্যকেই এই শরণার্থীদের পুনর্বাসনের দায়িত্ব নিতে হবে। এছাড়া একবার যদি সীমান্ত খুলে দেওয়া হয় তাহলে উৎপীড়ন থেকে বাঁচতে আওয়ামি লিগের নেতা-কর্মীরাও ভয়ে এদেশে চলে আসতে পারেন। এর ফলে সীমান্ত এলাকায় জনবিন্যাস ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হবে।

Government of India Bangladesh protest

সেই সঙ্গেই সাউথ ব্লকের কথায়, ওপার বাংলার জনতার চাপে ক্ষমতা বদল হয়েছে। শুরু থেকে জনতার ইচ্ছেকে মান্যতা দিয়েছে ভারত। বৃহস্পতিবার সেদেশে অন্তর্বর্তী সরকার শপথ নিয়েছে, আগামীদিনে নির্বাচন হবে। এই আবহে লক্ষাধিক শরণার্থীর এদেশে চলে আসাটা একেবারেই কাম্য নয়। দিল্লি (Government of India) চাইছে, দ্রুত বাংলাদেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে উঠুক। আপাতত শরণার্থীদের জন্য দরজা না খোলার সিদ্ধান্তই নিয়েছে কেন্দ্র।

Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পড়াকালীন সাংবাদিকতা শুরু। বিগত ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত। রাজনীতি থেকে বিনোদন, ভাইরাল থেকে ভ্রমণ, সব ধরণের লেখাতেই সমান সাবলীল।

সম্পর্কিত খবর