বাংলা হান্ট ডেস্কঃ এই মুহূর্তে আন্দোলনের কারণে উত্তাল বাংলাদেশ। কোটা বিরোধী প্রতিবাদের জেরে ইতিমধ্যেই ১০৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহতের সংখ্যা আড়াই হাজারের বেশি। এই পরিস্থিতির দিকে কড়া নজর রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারেরও (Government of West Bengal)। রাজ্যের কেউ ওপার বাংলায় আটকে রয়েছে কিনা তা জানতে এবার উদ্যোগী নবান্ন (Nabanna)।
বাংলাদেশ পরিস্থিতির দিকে কড়া নজর রাজ্য সরকারের (Government of West Bengal)
পশ্চিমবঙ্গের কেউ বাংলাদেশে আটকে রয়েছেন কিনা সেটা জানতে ইতিমধ্যেই দিল্লির সঙ্গে রাজ্য সরকারের (Government of West Bengal) কথা হয়েছে। বাংলার কেউ ওই দেশে আটকে রয়েছেন কিনা সেটা দেখতে কেন্দ্রের কাছে আবেদনও করা হয়েছে বলে খবর। সেই সঙ্গেই রাজধানীতে রাজ্যের রেসিডেন্সিয়াল কমিশনারকে এই বিষয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ থেকে এখনও অবধি ৩০০ জনেরও বেশি ছাত্রছাত্রী এদেশে ফিরে এসেছেন। কোচবিহারের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের মেখলিগঞ্জ গেট দিয়ে বাংলাদেশ মেডিক্যাল কলেজের ৩৩ জন পড়ুয়া এদেশে এসেছেন। তাঁদের মধ্যে ৬ জন ভারতীয়।
আরও পড়ুনঃ হু হু করে কমছে বাস! শনি-তে অবাক কাণ্ড কলকাতায়! কারণ ‘ফাঁস’ হতেই শোরগোল
জানা যাচ্ছে, বাংলাদেশ (Bangladesh) থেকে যে সকল ছাত্রছাত্রীরা ফিরে এসেছেন তাঁদের মধ্যে বেশিরভাগই ডাক্তারির পড়ুয়া। মূলত উত্তর প্রদেশ, মেঘালয়, হরিয়ানা, জম্মু এবং কাশ্মীরের বাসিন্দা তাঁরা। দেশে ফেরার পর শিক্ষার্থীরা বলছিলেন, তাঁরা ওদেশে অপেক্ষা করছিলেন। তবে বৃহস্পতিবার ইন্টারনেট পরিষেবা সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেওয়ার পর এবং টেলিফোন পরিষেবা ব্যাহত হওয়ার পর আর ওখানে থাকার ‘রিস্ক’ নেননি।
এই বিষয়ে চট্টগ্রামের মেরিন সিটি মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া আমির বলেন, বিগত কয়েকদিন ধরে বাংলাদেশের পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হচ্ছিল। ইন্টারনেট, মোবাইল পরিষেবা ঠিকভাবে কাজ করছিল না। চোখের সামনে একাধিক মানুষের মৃত্যু দেখতে হয়েছে। শেষ অবধি প্রাণ বাঁচানোর জন্য ঘুরপথে এদেশে ফিরে আসেন তাঁরা কয়েকজন। বিমানের টিকিট না পাওয়ার কারণে আগরতলা হয়ে ভারতে প্রবেশ করেন ওই ছাত্রছাত্রীরা।