বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যের কোনও মানুষের যেন খাবারের অভাব না হয়! প্রত্যেক মানুষের মুখে খাবার তুলে দিতে ২০১৬ সালের জানুয়ারি মাসে ‘খাদ্যসাথী’ (Khadya Sathi Prakalpa) নামে একটি প্রকল্পের সূচনা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দরিদ্র মানুষ খাদ্যশস্যের অধিকার থেকে যেন বঞ্চিত না হয়, সেটা সুনিশ্চিত করতেই এই প্রকল্পের সূচনা।
খাদ্যসাথী প্রকল্পে (Khadya Sathi Prakalpa) কীভাবে আবেদন করতে হয়?
রাজ্য খাদ্য দফতরের কথায়, এখন পশ্চিমবঙ্গে ৮ কোটি ৮১ লক্ষ রেশন গ্রাহক রয়েছেন। তার মধ্যে রাজ্য খাদ্য সুরক্ষা যোজনার অধীন রয়েছেন প্রায় ২ কোটি ৮৮ লক্ষ উপভোক্তা। রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রত্যেক মাসে তাঁদের ৫ লক্ষ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য ফ্রি-তে দেওয়া হয়। এই স্কিমের (Government Scheme) অধীন গ্রাহকদের একটি নির্দিষ্ট কার্ড প্রদান করা হয়। একইসঙ্গে এর অধীন প্রত্যেক মাসে নির্দিষ্ট পরিবারকে চাল-গম দেওয়া হয়।
জানা যাচ্ছে, এই রাজ্যের যে সকল মানুষের রেশন কার্ড কিংবা খাদ্যসাথী (Khadya Sathi Prakalpa) কার্ড নেই, তাঁরা এর জন্য আবেদন করতে পারেন। অনলাইন, অফলাইন দু’ভাবেই এর জন্য অ্যাপ্লাই করা যায়। তবে সেক্ষেত্রে ওই আবেদনকারীকে পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী বাসিন্দা এবং তার রেশন কার্ড থাকতে হবে । একইসঙ্গেই যদি ওই পরিবারের কোনও সদস্য সরকারি চাকরি করে থাকেন, তাহলে তিনি এই প্রকল্পের যোগ্য হিসেবে বিবেচিত হবেন না।
আরও পড়ুনঃ এই দু’জনের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা! আরজি করে নির্যাতিতাকে পরিকল্পিত খুন? সব তথ্য পেয়ে গেল CBI
রাজ্য সরকারের (Government of West Bengal) খাদ্যসাথী প্রকল্পে আবেদন করতে গেলে আবেদনপত্রের সঙ্গে রেশন কার্ডের একটি কপি জমা করতে হয়। সেই সঙ্গেই দরকার হয় আবেদনকারীর আধার কার্ড, ভোটার কার্ড, আয়ের শংসাপত্র, পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
অনলাইন, অফলাইন দু’ভাবেই রাজ্য সরকারের খাদ্যসাথী প্রকল্পে আবেদন করা যায়। অনলাইনে আবেদন করতে হলে ইচ্ছুক ব্যক্তিকে রাজ্য সরকারের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে যেতে হয়। এরপর ই-সিটিজেন অপশনে ক্লিক করতে হবে। এরপর ডিজিটাল রেশন কার্ডে (Ration Card) ক্লিক করে জেলা ও পুরসভা অথবা পঞ্চায়েতের নাম দিয়ে যথাযথ তথ্য দিতে হবে।
এরপর প্রয়োজনীয় নথির স্ক্যান কপি আপলোড করে তা জমা করে দিতে হবে। এছাড়া যদি খাদ্যসাথী প্রকল্প (Khadya Sathi Prakalpa) সম্বন্ধিত কোনও তথ্য জানতে হয় অথবা অসুবিধা হয় তাহলে স্থানীয় রেশন দোকানে যোগাযোগ করতে হবে। এছাড়া পুরসভা অথবা বিডিও-য় গিয়েও এই বিষয়ক তথ্য জানা যায়। এছাড়া প্রয়োজন পড়লে রাজ্য সরকারের খাদ্য ও সরবরাহ দপ্তরের নিঃশুল্ক নম্বরে যোগাযোগ করতে পারেন।