স্যালাইন কাণ্ডের পরেই ‘অ্যাকশন’! স্বাস্থ্য দফতরের এক নির্দেশে শোরগোল রাজ্যে

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ স্যালাইন কাণ্ড (Saline Incident) নিয়ে বর্তমানে উত্তাল বাংলা। সম্প্রতি মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে একই দিনে সিজার হওয়া ৫ জন প্রসূতি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এই আবহে এবার কড়া পদক্ষেপ নিল রাজ্য (Government of West Bengal)। ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্য দফতরের (West Bengal Health Department) তরফ থেকে রাজ্যের সকল মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের মেডিক্যাল সুপারিনটেনডেন্ট কাম ভাইস প্রিন্সিপাল ও প্রত্যেক জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে নির্দেশ পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে খবর।

স্যালাইন কাণ্ডের পরেই কড়া পদক্ষেপ রাজ্যের (Government of West Bengal)!

মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে (Medinipur Medical College) প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনা নিম্নমানের স্যালাইন ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছে। সেই সঙ্গেই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন আরও বেশ কয়েকজন প্রসূতি। এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে সিআইডি। এই আবহে এবার পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যালসের ১৪টি ওষুধ নিষিদ্ধ করল রাজ্য।

আগেই সংশ্লিষ্ট সংস্থার রিঙ্গার্স ল্যাকটেট নিষিদ্ধ করেছিল সরকার। এবার তাতে আরও ১৩টি নাম যুক্ত করল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। কোনও ভাবেই পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যালসের ওই ১৪টি ওষুধ ব্যবহার করা যাবে না বলে জানানো হয়েছে। হাতে থাকলেও কোনও হাসপাতাল ওই ওষুধগুলি ব্যবহার করতে পারবে না। এছাড়া যেখানে যেখানে ওই ওষুধগুলি রয়েছে, তা তুলে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য (Government of West Bengal)। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনার পরেই দেওয়া হয়েছে এই নির্দেশ।

আরও পড়ুনঃ ‘বরদাস্ত করা হবে না’! রাজ্যকে তুমুল ভর্ৎসনা! কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট

জানা যাচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যালসের ডেক্সট্রোস ইঞ্জেকশন ১০% (৬৫০ এমওএসএম/লিটার) হাইপারটোনিক, ম্যানিটল ইনফিউশন আইপি ২০%- ১০০ মিলিলিটার বোতল, লেভোফ্লোক্সাসিন ইনফিউশন- ৫ মিলিগ্রাম/১০০ মিলিলিটার বোতল, পেডিয়াট্রিক মেনটেনান্স ইলেক্ট্রোলাইট সলিউশন, অফলোক্সাসিন- ২০০ মিলিগ্রাম/১০০ মিলিলিটার, প্যারাসিটামল ইনফিউশন- ১০০০ মিলিগ্রাম/১০০ মিলিমিটার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

Swasthya Bhaban West Bengal Health Department Government of West Bengal

এছাড়াও সেই তালিকায় নাম রয়েছে সোডিয়াম ক্লোরাইড ইঞ্জেকশন আইপি ০.৯% (নরম্যান বা ইস্টোনিক স্যালাইন) (এনএ পজিটিভ ১৫৪ এমএমওএল/আইসিএল ১৫৪ এমএমওএল/ এল (এফএফএস প্রসেস), রিঙ্গার ল্যাকটেট আইপি ইঞ্জেকশন, রিঙ্গার ল্যাকটেট সলিউশন আইপি ইঞ্জেকশন (ব্লো ফিল ও সিল প্রসেস), ডেক্সট্রোস সলিউশন আইপি ৫% (ব্লো ফিল, সিল প্রসেস), সোডিয়াম ক্লোরাইড ইরিগেশন সলিউশন (এনএস- ৩ লিটার), সোডিয়াম ক্লোরাইড ০.৯% + ডেক্সট্রস ৫% ইঞ্জেকশন আইপি (ব্লো ফিল ও সিল প্রসেস), সোডিয়াম ক্লোরাইড ইঞ্জেকশন ০.৯% নরম্যাল বা ইস্টোনিক স্যালাইন (এনএ পজিটিভ ১৫৪ এমএমওএল/ আইসিএল ১৫৪ এমএমওএল/এল (ব্লো ফিল ও সিল প্রসেস) এবং সোডিয়াম ক্লোরাইড ইঞ্জেকশন ০.৪৫% ডেক্সট্রোস ৫% পলিপ্রোপেলিন বটল ইন এফএফএস টেকনোলজি ওষুধগুলিও নিষিদ্ধ করেছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর।

এদিকে একদিকে স্যালাইন কাণ্ডের প্রেক্ষিতে রাজ্য (Government of West Bengal) যখন সংশ্লিষ্ট সংস্থার ১৪টি ওষুধ নিষিদ্ধ করেছে, তখন জোরকদমে তদন্ত চালাচ্ছে সিআইডি। জানা যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে গিয়েছিলেন তদন্তকারীরা। সেখানে সুপার, সিনিয়র চিকিৎসক, জুনিয়র চিকিৎসক, কয়েক নার্সের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। রিঙ্গার্স ল্যাকটেটের ব্যাচ নং, হাসপাতালের রোস্টার, লগবুক সহ নানান নথি খতিয়ে দেখার পাশাপাশি আরও বিভিন্ন বিষয়ে জানতে চান গোয়েন্দারা।

Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পড়াকালীন সাংবাদিকতা শুরু। বিগত ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত। রাজনীতি থেকে বিনোদন, ভাইরাল থেকে ভ্রমণ, সব ধরণের লেখাতেই সমান সাবলীল।

সম্পর্কিত খবর