বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ক্ষমতায় আসার পর থেকেই একাধিক জনকল্যাণমুখী প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। যার মধ্যে অন্যতম কিছু হল লক্ষীর ভাণ্ডার, কন্যাশ্রী, যুবশ্রী, রূপশ্রী ইত্যাদি। এই সমস্ত প্রকল্পের মাধ্যমেই সাধারণ মানুষকে আর্থিক সাহায্য দিয়ে থাকে রাজ্য সরকার (Government Of West Bengal)। বঙ্গ শাসকদল তৃণমূলের সর্বাধিক চর্চিত প্রকল্পর মধ্যে একটি হল লক্ষীর ভাণ্ডার (Lakshmir Bhandar)। যার মাধ্যমে বাংলার মা-বোনেদের হাতে মাস গেলে অর্থসাহায্য তুলে দেওয়া হয়। তবে এবার আর ১০০০ নয়, পেতে পারেন কড়কড়ে ১০০০০ টাকা। কীভাবে?
আসন্ন লোকসভা ভোট (Loksabha Election)। এই নির্বাচনকে পাখির চোখ করে গত ফেব্রুয়ারী মাসের বাজেটে লক্ষীর ভাণ্ডারের ভাতা দ্বিগুন বৃদ্ধির ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। চলতি এপ্রিল মাস থেকেই লক্ষীর ভাণ্ডারে বর্ধিত ভাতা মা-বোনেদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকছে। আগে ৫০০ পেলেও এখন মাস গেলেই মিলছে ১০০০ টাকা। তবে আজ আমরা আপনাকে এমন একটি প্রকল্পের খোঁজ দেব যার মাধ্যমে অনেকে ১০,০০০ টাকা অবধি পেয়ে যাবেন।
এখানে কথা হচ্ছে ২০২০ সালে চালু হওয়া একটি প্রকল্পের কথা। কোভিডকালে ছাত্রছাত্রীদের অনলাইনে পড়াশোনার যাতে সুবিধার জন্য সরকার দ্বারা চালু করা হয় তরুণের স্বপ্ন প্রকল্প। এই প্রকল্পের মাধ্যমে স্কুল পড়ুয়ারা ১০,০০০ টাকা পেতে পারেন। তবে শুধুমাত্র একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়ারাই এই প্রকল্পের অধীনে এই আর্থিক সাহায্য পান।
শিক্ষার্থীদের পড়াশোনাকে প্রযুক্তির সাথে সংযুক্ত করতে ‘তরুণের স্বপ্ন’ প্রকল্পের মাধ্যমে সরকার তরফে ১০ হাজার টাকা দেওয়া হয়ে থাকে। যার মাধ্যমে ট্যাব, পিসি, স্মার্টফোন কিনতে হয় পড়ুয়াদের। পড়ুয়ারা মাধ্যমিক পাশ করলেই সরকারের তরফে এই টাকা দেওয়া হয়ে থাকে।
আরও পড়ুন: ৩০-৪০ কিমি বেগে দমকা হাওয়া! সকাল থেকেই বৃষ্টি দক্ষিণবঙ্গের কোন কোন জেলায়? আবহাওয়ার খবর
তবে কেবল মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশ করলেই এই টাকা মিলবে না, একাদশ শ্রেণিতে ভর্তিও হতে হবে। মাধ্যমিকের মার্কশিটের কপি, একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হওয়ার নথি, মাধ্যমিকের অ্যাডমিট কার্ড ইত্যাদি প্রমাণ হিসেবে জমা করলে তবেই পাওয়া যাবে ‘তরুণের স্বপ্ন’ প্রকল্পের সুবিধা। পাশাপাশি ওই টাকা দিয়ে মোবাইল বা ট্যাব কিনে অবশ্যই সেই রসিদ বিদ্যালয়ে জমা করতে হবে।