প্রস্তাবই সার! কতদূর এগোল জেলার সরকারি হাসপাতালের নিরাপত্তার কাজ? এবার সব ‘ফাঁস’

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আরজি কর কাণ্ডের পর থেকেই শিরোনামে রয়েছে রাজ্যের স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলির নিরাপত্তা। চিকিৎসক ধর্ষণ খুনের এই ঘটনার পরেই রাজ্য সরকারের (Government of West Bengal) তরফ থেকে বাংলার সরকারি হাসপাতালগুলির সুরক্ষা ব্যবস্থা পোক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। সরকারি মেডিক্যাল কলেজের পাশাপাশি শহর কলকাতার নানান সরকারি হাসপাতালে সেই কাজ শুরু হয়। এবার জেলা হাসপাতালের নিরাপত্তার কাজ নিয়ে সামনে আসছে নয়া আপডেট।

  • এখনও কোনও অর্থ অনুমোদন করেনি সরকার (Government of West Bengal)!

রাজ্যের নানান জেলার সরকারি হাসপাতালগুলির (Government Hospital) নিরাপত্তা আঁটোসাঁটো করতে সরকারের তরফ থেকে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের থেকে এই সংক্রান্ত বিশদ তথ্য চেয়ে পাঠানো হয়। সেই অনুযায়ী প্রায় দু’মাস আগেই প্রস্তাব পাঠানো হয় বলে খবর। তবে জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা যাচ্ছে, এখনও কোনও রকম অর্থ অনুমোদন করা হয়নি।

একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে পশ্চিম বর্ধমান জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্র উদ্ধৃত করে দাবি করা হয়েছে, স্বাস্থ্য ভবনে (Swasthya Bhaban) মাস দুয়েক আগে বিশদ প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। তবে সেই অনুযায়ী এখনও অর্থ অনুমোদন করা হয়নি। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক শেখ মহম্মদ ইউনুসের কথায়, ‘অর্থ অনুমোদন যদি না হয়, তাহলে কাজ করা যাবে না। আমাদের হাতে আর কিছু নেই’।

আরও পড়ুনঃ আলু-পেঁয়াজের আগুন দাম! এবার কড়া নিদান মমতার, স্বস্তি পাবে আমজনতা!

মেডিক্যাল কলেজগুলির পাশাপাশি জেলার হাসপাতালগুলির সুরক্ষা নিয়েও পদক্ষেপ দরকার বলে মন্তব্য করেন শেখ মহম্মদ ইউনুস। এদিকে জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, আরজি কর কাণ্ডের পর সরকারের (Government of West Bengal) তরফ থেকে একটি নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছিল। সেখানে ডাক্তার এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের রেস্ট রুম, শৌচালয়, হাসপাতালে চত্বরে পর্যাপ্ত সিসিটিভি ক্যামেরা, আলোর বন্দোবস্ত সহ বেশ কিছু কথা বলা হয়েছিল। সেই সঙ্গেই হাসপাতালগুলিতে পর্যাপ্ত সংখ্যক নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগের বিষয়টিও রয়েছে।

Nabanna Government of West Bengal

মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন, পশ্চিম বর্ধমানে একটি জেলা এবং একটি মহকুমা হাসপাতাল রয়েছে। সেই সঙ্গেই চারটি গ্রামীণ এবং আটটি ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র আছে। সব মিলিয়ে নিরাপত্তারক্ষীর সংখ্যা ৮৪ জন। প্রত্যেক মাসে তাঁদের জন্য প্রায় সাড়ে ৮ লক্ষ টাকা খরচ হয়। সরকারের (Government of West Bengal) তরফ থেকে এখনও সেই টাকা অনুমোদন করা হয়নি। যে কারণে সুরক্ষার জন্য পুরোপুরি পুলিশের ওপর নির্ভরশীল হতে হচ্ছে। এই নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্যকে তোপ দেগেছেন আসানসোল দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। অন্যদিকে পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী পাল্টা বলেন, নিরাপত্তার বিষয়ে রাজ্য সরকার উদ্যোগী হয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। সমালোচনা ছাড়া বিরোধীরা কিছু পারে না বলে দাবি করেন তিনি।

Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পড়াকালীন সাংবাদিকতা শুরু। বিগত ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত। রাজনীতি থেকে বিনোদন, ভাইরাল থেকে ভ্রমণ, সব ধরণের লেখাতেই সমান সাবলীল।

সম্পর্কিত খবর