বাংলাহান্ট ডেস্ক : গত বৃহস্পতিবারই রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে ঠিক হয় রাজ্যের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদ থেকে রাজ্যপালকে সরিয়ে দেওয়া হবে। ওই পদ অধিগ্রহন করবেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। তার জন্য বিধানসভায় সংশ্লিষ্ট আইনেরও পরিবর্তন করা হবে। আর সংবিধানের ধারা অনুযায়ী, যদি কোনও বিল বিধানসভায় পাশ হয়ে যায় তাহলে তা সাক্ষর করতে বাধ্য থাকেন রাজ্যপাল। খুব বেশি হলে রাজ্যপাল রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠাতে পারেন। তার জন্য বিধানসভায় সংশ্লিষ্ট আইনের পরিবর্তন করা হবে।
মন্ত্রিসভায় সিদ্ধান্ত হয়েছিল, এবার আর রাজ্যপাল নয় বরং সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদে থাকবেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। সেই নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয় বিগত কয়েক দিনে। এবার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ভিজিটর’ পদ থেকেও রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে সরানোর ভাবনা শুরু করে দিল নবান্ন। সূত্রে খবর সেই জায়গায় আসতে পারেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
সূত্রের খবর, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিজিটর পদ থেকে সরানোর বিষয়েও আলোচনা হয়েছিল মন্ত্রিসভার বৈঠকে। এবার তাতে সবুজ সংকেত দিয়েছে নবান্ন। যদিও শিক্ষা বিশেষজ্ঞ মহল মনে করেন, আচার্য পদে মুখ্যমন্ত্রী, ভিজিটর পদে শিক্ষামন্ত্রী বসলে শিক্ষাঙ্গনে রাজনীতি প্রবেশের সম্ভাবনা থাকে। আবার অনেকে সরকারের এই পদক্ষেপকে স্বাগতও জানিয়েছেন।
ঠিক কী জানা যাচ্ছে? নবান্ন সূত্রে খবর, রাজ্যের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির ভিজিটর বা পরিদর্শক পদে রয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। কিন্তু তাঁর সঙ্গে রাজ্য সরকারের সংঘাত তো লেগেই রয়েছে। এই পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে উচ্চশিক্ষায় অনেক ভাল পদক্ষেপ আটকে যাচ্ছে বলে অভিযোগ। তাই সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদ থেকেই এবার রাজ্যপালকে সরাতে আনা হচ্ছে নয়া বিল। আর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিজিটর বা পরিদর্শক পদ থেকেও তাঁকে সরানোর কথা ভাবা হচ্ছে।