আতিক হত্যার পর নাসিক থেকে ‘গুড্ডু মুসলিম”কে গ্রেফতার করল ইউপি STF, ফের এনকাউন্টারের আশঙ্কা

Published On:

বাংলা হান্ট ডেস্ক : পুলিসের চোখের সামনেই গুলিতে ঝাঁঝরা গ্যাংস্টার-রাজনীতিবিদ আতিক আহমেদ (Atiq Ahmed Murder Case) ও তার ভাই আশরফ। উত্তর প্রদেশের (Uttar Pradesh) প্রয়াগরাজের এই জোড়া হত্যাকাণ্ডের জেরে ছড়িয়েছে আতঙ্ক। মৃত্যুর ঠিক আগের মুহূর্তে ঠিক কী বলেছিল আতিক? তাকে যে খুন করা হবে, বুঝেছিল কুখ্যাত এই গ্যাংস্টার?

শনিবার জেলবন্দি আতিক ও তার ভাই আশরফকে মেডিক্যাল চেক আপের জন্য নিয়ে যায় পুলিস। হাসপাতালের সামনে গাড়ি থেকে নামার পরই তাদের ঘিরে ধরে সংবাদমাধ্যম। শনিবার হাসপাতালের সামনে গাড়ি থেকে নামতেই এই নিয়ে আতিককে প্রশ্ন করেন সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিরা। জবাবে আতিক বলে, ‘নিয়ে যায়নি তো যায়নি।’

atiq 4

পরের বাক্যটি বলার আগেই আততায়ী গ্যাংস্টার আতিকের মাথা লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে দেয়। আতিকের ভাই আশরফকে ঘিরে চলতে থাকে একের পর এক গুলি। ‘আমার কথা হল, গুড্ডু মুসলিম।’ মৃত্যুর আগে আতিক এইটুকুই বলতে পেরেছিল বলে দাবি করেছেন সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিরা।

সেই গুড্ডু মুসলিমকেই এবার গ্রেফতার করল পুলিস। জানা যাচ্ছে, গুড্ডুকে গ্রেফতার করার জন্য উত্তর প্রদেশ এসটিএফ-এর ১০ টি দল কাজে লেগেছিল। পুলিস সূত্রে খবর, গুড্ডু মুসলিম আদতে এলাহাবাদের বাসিন্দা। লক্ষ্ণৌ-এর বাহুবলী অভয় সিং এবং ধনঞ্জয় সিং-এর ছত্রছায়ায় সে বড় অপরাধী হয়ে ওঠে। শুধু তাই নয়, জানা যাচ্ছে, গুড্ডু আইএসআই-এর সঙ্গেও যুক্ত ছিল।

এর আগে উত্তর প্রদেশের পুলিস গুড্ডুকে ধরার জন্য ৫ লক্ষ টাকা পুরষ্কারের কথা ঘোষণা করে। এই পুরো হত্যামামলাতে গুড্ডু খুব বড় চরিত্র বলে ধারণা গোয়েন্দাদের। গুড্ডুকে গ্রেফতারের পরই এই মামলার কিনারা হয়ে যাবে বলেই বিশ্বাস যোগি প্রশাসনের।

সম্পর্কিত খবর

X