বাংলা হান্ট ডেস্কঃ অর্পিতা-হৈমন্তীর পর বাংলার নিয়োগ দুর্নীতিতে (Recruitment Scam) উঠে এসেছে আরেক রহস্যময়ীর নারীর নাম। দুদিন থেকে সেই রমণী সোমাকে নিয়েই নতুন করে ঘনীভূত হয়েছে রহস্য। তবে চর্চার দিক থেকে পিছিয়ে নেই মডেল হৈমন্তীও। শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারির লাইমলাইটে এই মুহূর্তে এই দুই নারী।
ইডি সূত্রের খবর ছিল, টেট দুর্নীতি কাণ্ডে হুগলীর ধৃত যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষের নথিপত্র ঘেঁটে এই সোমা চক্রবর্তীর (Soma Chakraborty) খোঁজ মিলেছে। অভিযোগ, ২০২০ সালে এই সোমাকেই লক্ষ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন অভিযুক্ত কুন্তল ঘোষ (Kuntal Ghosh)। অন্যদিকে, এই কুন্তলের মুখেই উঠে আসে গোপাল দলপতির স্ত্রী হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়ের (Haimanti Ganguly) প্রসঙ্গ।
এবার সেই হৈমন্তীই সরব হলেন কুন্তল-সোমাকে নিয়ে। মডেলের দাবি, বারবার বিনা কারণে তার ম্যাম তুললেও সোমা-প্রসঙ্গ চেপে যাচ্ছেন কুন্তল। হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়ের কথায়, ‘সোমাকে নিয়ে কুন্তল তো পুরোপুরি নীরব’। একইসঙ্গে হৈমন্তীর দাবি, তার বিরুদ্ধে চক্রান্ত চলছে। অন্যদিকে, এই সোমাকেই সোমাকেই চেনেন না বলেই জিজ্ঞাসাবাদে দাবি করেছেন কুন্তল।
তবে কুন্তলের সেই জবাব মানতে নারাজ গোপাল দলপতির স্ত্রী হৈমন্তী। হৈমন্তীর বক্তব্য, “যখন বলা হচ্ছে সোমা চক্রবর্তী কে, তার উত্তর দিচ্ছে (কুন্তল) না-না-না। আর কোনও কথা না। অথচ আমার নামে ১০৮টা কথা বলে গিয়েছে। ইডি সূত্রে তো দাবিও করা হয়েছে, সোমার কুন্তলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে লেনদেন হয়েছে। এত বড় কথার পরও কেন চুপ? সত্যি কেন বলতে পারলেন না?”
এরপরই হৈমন্তী বলেন, “মানুষ বুঝুক। আমাকে ফাঁসানোর জন্য কীরকম চক্রান্ত হচ্ছে। যেখানে আমার কোনও ভূমিকাই নেই।” প্রসঙ্গত, দক্ষিণ কলকাতার একটি পার্লারের মালিক সোমা চক্রবর্তী। ইডি সূত্রে খবর, হুগলীর ধৃত যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষের নথিপত্র ঘেঁটে এই সোমা চক্রবর্তীর খোঁজ মিলেছে। অভিযোগ, ২০২০ সালে এই সোমাকেই লক্ষ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন অভিযুক্ত কুন্তল ঘোষ। সেই টাকা আবার অন্য প্রভাবশালীদের অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করা হয়েছে বলে দাবি ইডির।
সংশ্লিষ্ট সংস্থা সূত্রেই খবর, সোমাদেবীর অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা গেছে এখনও পর্যন্ত এইরকম চার পাঁচটি অ্যাকাউন্ট পাওয়া গিয়েছে। তবে সোমার মুখ থেকে এখনও পর্যন্ত এই লেlনদেন নিয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি বলেই জানা গিয়েছে। শুধু বিপুল লেনদেনই নয়, সোমার মাধ্যমে বেশ কয়েক জন চাকরি প্রার্থীর সুপারিশও পৌঁছায় অভিযুক্ত কুন্তলের কাছে। এমনটাই ধারণা তদন্তকারী সংস্থার।