লকডাউনে দুরন্তগতিতে বাড়ছে হনুমান চল্লিশার অনলাইন সার্চ, ভাঙল সমস্ত রেকর্ড

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ সমগ্র বিশ্বে করোনা ভাইরাস (COVID-19) সংক্রমণটি দাবানলের ন্যায় ছড়িয়ে পড়েলেও, তারই মধ্যে মানুষজন পাঠ করছেন হনুমান চল্লিশা (Hanuman Chalisa)। এই মুহূর্তে দেশে করোনার সংকটও বাড়ছে। এখন পর্যন্ত ভারতে ৩৭ হাজারেরও বেশি মানুষ করোনা ভাইরাসের দ্বারা সংক্রামিত হয়েছে। এই কঠিন পরিস্থিতে সরকারও লকডাউনের সময়সীমা বাড়িয়ে ১৭ ই মে অবধি করে দিয়েছে। সমগ্র দেশবাসি এখন গৃহবন্দি।

hanuman 22

লকডাউনের জন্য জারী করা সরকারী নির্দেশ মান্য করতে বন্ধ রাখা হয়েছে সমস্ত ধর্মীয় স্থানও। যার ফলে এখন মানুষজন মন্দিরের বদলে ঘরে বসেই আরাধ্য দেবতার পূজা অর্চনা করছেন। এই সময়ে তবে বাইরে বেরনো নিষেধ থাকার কারণে, মানুষজন বাড়িতেই পরিবারের সাথে বেশি সময় কাটাচ্ছেন। টিভি দেখছেন, গল্প গুজব করছে, এমনকি দূরত্ব বজায় রেখে নিজেদের মধ্যে বিভিন্ন ইনডোর গেমসও খেলছেন। তবে এই সব কিছুকে ছাপিয়ে গেছে হনুমান চল্লিশা।

benefits of hanuman chalisa 7

সমীক্ষা বলছে, লকডাউনের পর থেকে গুগল এবং ইউটিউবে হনুমান চল্লিশা সার্চ করা মানুষের সংখ্যা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। সম্ভবত, এই দুর্যোগ থেকে একমাত্র ভগবানই পারে সকলকে রক্ষা করতে, সেই কারণেই বহু মানুষ এখন ঘরে বসেই হনুমান চল্লিশা পাঠ করছেন।

অনুসন্ধান করে যানা যায়, গত ১২ মাসের হিসাবে, জনতা কারফিউয়ের আগের দিন অর্থাৎ ২১ শে মার্চের মধ্যে গুগলে হনুমান চালিশা অনুসন্ধান করার হার একেবারে স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু লকডাউন ঘোষণার পরে, ২৪ শে মার্চ থেকে হনুমান চালিশার অনুসন্ধান খুব দ্রুত হারে বেড়েছে। যার মধ্যে ৫ থেকে ১১ ই এপ্রিলের মধ্যে এই সার্চের পরিমাণ প্রায় ১০০ শতাংশের কাছাকাছি ছিল। আবার ইউটিউবেও ২২ শে মার্চ থেকে ১১ ই এপ্রিলের মধ্যে হনুমান চল্লিশা সার্চ করার মানুষের সংখ্যাও বেড়েছে ব্যাপকহারে। টি-সিরিজের অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে হনুমান চালিশাকে ৯৬২ মিলিয়ন মানুষ দেখেছেন।

3616610571

এবছর ৮ ই এপ্রিল হনুমান জয়ন্তী ছিল। হনুমান জয়ন্তী চৈত্র মাসের পূর্ণিমায় পালিত হয়। প্রতি বছর ওই দিন হনুমান জয়ন্তী উপলক্ষে মন্দিরে প্রচুর ভিড় হয় এবং লোকেরা বিভিন্ন স্থানে ভান্ডার করেন। কিন্তু করোনার কারণে এবার সকলেই নিজ বাড়িতে হনুমান জয়ন্তী উদযাপন করলেন। এমনকি এই দিনেও হনুমান চালিশাকে অনেকবার সার্চও করেন বহু মানুষ।


Smita Hari

সম্পর্কিত খবর