বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: বিগত বেশকিছু সময় ধরে চোটে-বিধ্বস্ত ভারতের অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়া। কিন্তু এবার তিনি আসন্ন আইপিএলের পঞ্চদশ তম সংস্করণে নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজি গুজরাট টাইটান্সের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য বেঙ্গালুরুর ন্যাশনাল ক্রিকেট একাডেমিতে (এনসিএ) একটি শারীরিক মূল্যায়নের পরে যেখানে তিনি বোলিং করেছিলেন এবং ‘ইয়ো-ইয়ো’ টেস্টে পাস করেছিলেন। ফলে তার মাঠে ফিরতে আর কোনও বাঁধা থাকছে না।
বিসিসিআই তার সমস্ত কেন্দ্রীয় চুক্তিবদ্ধ খেলোয়াড়দের শারীরিক পরীক্ষা করছে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিসিসিআইয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে “এটা পরিষ্কার করা দেওয়া ভালো যে তাদেরই ফিটনেস টেস্ট ক্লিয়ারেন্স দরকার যারা শুধুমাত্র তাদের ইনজুরি থেকে ফিরে আসছেন। হার্দিকের ক্ষেত্রে, একটি কঠিন আইপিএল মরশুমে মাঠে নামার আগে একটি সাধারণ ফিটনেস মূল্যায়ন পাওয়াটা দরকারি ছিল। তিনি দেশের ক্রিকেটের একটি সম্পদ এবং তার বর্তমান ফিটনেস মান পরীক্ষা করাটা গুরুত্বপূর্ণ।”
প্রকৃতপক্ষে, তার ফিটনেস মূল্যায়ন মডিউলে, এনসিএ দল তাকে বোলিং করা বাধ্যতামূলকও বলে ঘোষণা করেননি, কিন্তু তারকা অলরাউন্ডার স্পষ্টতই নিজে এই ব্যাপারে জেদ দেখিয়েছিলেন যে তিনি ভারতীয় দলে ফিরে আসার পথে রয়েছেন। সূত্রটি জানিয়েছে “তার এনসিএ-তে বল করার দরকার ছিল না কিন্তু তিনি যথেষ্ট সময় ধরে এবং ১৩৫ কিমি প্রতি ঘণ্টার গতিতে বোলিং করেছেন। দ্বিতীয় দিনে, তিনি ১৭-প্লাস স্কোর সহ ইয়ো-ইয়ো পরীক্ষাটি পাশ করেছিলেন যা কাট-অফ স্তরের থেকে অনেকটাই উপরে।”
সেইসঙ্গে আর এক ভারতীয় তারকা পৃথ্বী শ এই পরীক্ষায় পাশ করতে পারেননি। যদিও তাতে তার দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে আইপিএল খেলা আটকাচ্ছে না। সূত্রের মতে পরপর তিনটি ঘরোয়া ক্রিকেটের ম্যাচ খেলে ইয়ো ইয়ো পরীক্ষায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন তরুণ ক্রিকেটার। সেই ধকলই সম্ভবত ইয়ো ইয়ো টেস্টে কম নম্বর পাওয়ার কারণ।