বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্কঃ ফের একবার অসাধারণ শতরান করলেন বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। বিশ্বকাপের মঞ্চে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে (India vs Bangladesh) আজ নিজের দ্বিতীয় শতরান পেলেন চেজ মাস্টার। শেষ দিকে কোহলির শতরানের জন্য লোকেশ রাহুল (KL Rahul) নিজের অর্ধশতরানের মায়া ছেড়ে দেন। তাই শেষ ২০-৩০ রান বাকি থাকা অবস্থায় শুধুমাত্র বিরাট কোহলি নিজেই সকল রান করেন এবং আট ওভার বাকি থাকতেই ভারতীয় দলকে (Indian Cricket Team) জয় এনে দেন।
এদিন যখন আর ৩০ রান বাকি ভারতের জয়ের জন্য তখন থেকে লোকেশ রাহুল যাবতীয় স্ট্রাইক বিরাট কোহলিকে তুলে দিতে থাকেন। ম্যাচের পরে একটি সাক্ষাৎকার দিতে এসে সেই কথা স্বীকার করে নিয়েছেন ভারতের উইকেটরক্ষক। তিনি নিজে এমন সাহায্যটা পাননি হার্দিক পান্ডিয়ার কাছ থেকে যখন অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তিনি ব্যাটিং করছিলেন। ফলস্বরূপ ৯৭ রান করেই তিনি অপরাজিত থেকে যাননি অজিদের বিরুদ্ধে।
কিন্তু এদিন বিরাট কোহলিকে নিজে এগিয়ে গিয়ে রাহুল বলেন নিজের শতরানটা সম্পূর্ণ করতে। বিরাট কোহলি এতে প্রথমে রাজি হননি। বিশ্বকাপের মঞ্চে স্বার্থপরের মত শুধুমাত্র নিজের শতরানের জন্য খেলাটা উদ্দেশ্য ছিল না প্রাক্তন ভারত অধিনায়কের। কিন্তু রাহুল তাকে রাজু করান এবং ফলস্বরূপ ৯৭ বলে ১০৩ রানের একটি ঝকঝকে ইনিংস খেলতে পারেন বিরাট কোহলি। রাহুল নিজে অপরাজিত থাকেন ৩৪ রানে।
আরও পড়ুন: একাই একশো রোহিত! পরিসংখ্যানের দিক দিয়ে হিটম্যান একা বিশ্বকাপের সবকটি দলের থেকে এগিয়ে
আজ ইচ্ছাকৃতভাবে বিরাটের শতরান আটকানোর উদ্দেশ্য নিয়ে ৪২ তম ওভারের প্রথম বলটি ওয়াইড করেছিলেন নাসুম আহমেদ। ভারতের তখন জয়ের জন্য মাত্র দুই রান প্রয়োজন ছিল এবং কোহলির শতরানের জন্য প্রয়োজন ছিল ৩ রান। কোহলি দৃশ্যতই হতাশ হয়ে গিয়েছিলেন এমন মনোভাব দেখে। কিন্তু আম্পায়ার রিচার্ড কেটেলবরো বোলারের উদ্দেশ্য বুঝে ডেলিভারিটিকে ওয়াইড বলে ঘোষণা করেন না। এরপর বিরাট কোহলি ছক্কা মেরে ম্যাচ শেষ করে দেন এবং নিজের শতরানটি পেয়ে যান।
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপে প্রথম ফিফটি শুভমানের! অল্পের জন্য বড় রেকর্ড হাতছাড়া করলেও পেলেন হাফ-সেঞ্চুরি
অনেকের মতে তার এই শতরানে পরোক্ষভাবে অবদান রয়েছে হার্দিক পান্ডিয়ারও। তিনি আজ বোলিং করতে গিয়ে নিজের প্রথম ওভারেই পায়ে চোট পেয়ে ০.৩ ওভার বল করে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন। ফলে তার অভাব ঢাকতে ফর্মে না থাকা শার্দূল ঠাকুরকে দিয়ে ৯ ওভার বোলিং করাতে হয় রোহিতকে এবং এই ভারতীয় তারকা ৫৯ রান দিয়েছিলেন নিজের বোলিংয়ে। অনেকেরই ধারণা হার্দিক পান্ডিয়া থাকলে আরও ১০-১৫ রান কম উঠতো বাংলাদেশের। কারণ হার্দিক ফর্মে ছিলেন বল হাতে এবং নিয়মিত উইকেট পাচ্ছিলেন। সেক্ষেত্রে টার্গেট এতটাই ছোট হয়ে যেতো ভারতের যে শতরান অবধি পৌঁছনোর সুযোগই পেতো না কোহলি।