ভিনরাজ্যে হেনস্থার স্বীকার! পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে মামলার শুনানি পিছল হাইকোর্টে, কারণ কী?

Published on:

Published on:

Calcutta High Court

বাংলাহান্ট ডেস্ক- কলকাতা হাই কোর্টে (Calcutta High Court) পিছিয়ে গেল পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে মামলা। ভিনরাজ্যে কাজে গিয়ে হেনস্থার স্বীকার হতে হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) বহু পরিযায়ী শ্রমিকদের (Migrant Workers)। এই অভিযোগে মামলা করা হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। সেই বুধবার সেই মামলার শুনানি পিছিয়ে দেওয়া হল। ২৯ শে আগস্ট সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) সেই মামলার শুনানি রয়েছে। তাই ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মামলার শুনানি মুলতুবি রাখল কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta High Court)।

হাইকোর্টে মামলার শুনানি (Calcutta High Court)

কলকাতা হাই কোর্টে বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি ঋতব্রতকুমার মিত্রের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার বিচারাধীন রয়েছে। বিশেষ করে ওড়িশা এবং দিল্লিতে বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের আটক করার বিষয় নিয়ে মামলা চলছে। মামলার শুনানিতে হাইকোর্ট প্রশ্ন তোলে, বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের কেন আটকে রাখা হয়েছে? কিসের ভিত্তিতে আটক করা হয়েছে? এই নিয়ে কোনওরকম এফআইআর দায়ের করা হয়েছে কি? তাছাড়াও, এই নিয়ে ওড়িশার মুখ্যসচিবকে নির্দেশ দেওয়া হয়   পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে চিঠি দিতে।

ভিনরাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকদের হেনস্থা

বেশ কয়েক মাস ধরেই ভিন রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকদের হেনস্থার হওয়ার অভিযোগ আসছে। কখনও বাংলাদেশী বলে তাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে তো আবার কখনও অকথ্য অত্যাচারের স্বীকার হতে হচ্ছে। দিল্লি, মহারাষ্ট্র, গুজরাট সহ সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে অবৈধ অভিবাসী পুলিশি ধরপাকড়ে ধৃতদের আটক করার সময় বাংলা বললে বাংলাদেশী বলে আটকে রাখা হয়েছিল বলেও জানা যাচ্ছে। বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের এই আটক করা নিয়ে প্রথমে কলকাতা হাইকোর্ট ও পরে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করা হয়। পশ্চিমবঙ্গের অনেক এরকম পরিবার তাদের ফেরত চেয়ে মামলা করে।

Calcutta High Court

আরও পড়ুন: এত বড় স্পর্ধা! দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে কষিয়ে চড় ব্যক্তির…হামলার কারণ শুনে অবাক সকলে

সুপ্রিম কোর্টে মামলার শুনানি

পাশাপাশি  বাংলাদেশি সন্দেহে আটক করা নিয়ে শ্রমিক পশ্চিমবঙ্গ পরিযায়ী কল্যাণ বোর্ডের তরফে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় সুপ্রিম কোর্টে। গত ১৪ অগস্ট শীর্ষ আদালতে এই মামলার শুনানি চলে। শুনানি চলাকালীন, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের জারি করা এক বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে শুধুমাত্র বাংলায় কথা বলা এবং সেই ভাষায় থাকা নথির কারণে অনেককে হেনস্থার শিকার হতে হচ্ছে। তাই পুলিশের বিরুদ্ধে অতিসক্রিয়তার অভিযোগ এনে পুলিশের এই আটক করা বন্ধ করারআবেদন জানান মামলাকারী পক্ষের আইনজীবী। সেই শুনানিতে আবেদনের ভিত্তিতে বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর বেঞ্চ কোনও অন্তবর্তিকালীন নির্দেশ দিতে অস্বীকার করে। কিন্তু মামলার শুনানিতে কোনও আপত্তি জানায়নি সুপ্রিম কোর্ট। পাশাপাশি  কেন্দ্র এবং রাজ্যগুলিকে নিজেদের বক্তব্য জানাতে বলেছে সুপ্রিম কোর্ট।

সুপ্রিম কোর্টে মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে ২৯শে আগস্ট। এই মামলার সুপ্রিম শুনানিতে কী হয় সেই অপেক্ষায় রয়েছে সকলে। তাই হাইকোর্টেও ১০ই সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মামলার শুনানি স্থগিত রাখা হয়েছে।