বাংলাহান্ট ডেস্ক : আজ বড়ই গর্বের দিন বাংলাদেশের (Bangladesh) জন্য। বলা ভালো প্রত্যেকটি বাংলাদেশীর কাছেই স্মরণীয় দিন আজ। বঙ্গবন্ধুর দেশের এই গর্বের দিনেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গলায় শোনা গেল কিশোর কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের কবিতা। পদ্মা সেতু উদ্বোধন করতে এসে মুজিব কন্যা সোচ্চারে আবৃত্তি করলেন, ‘সাবাস, বাংলাদেশ, এ পৃথিবী অবাক তাকিয়ে রয়/ জ্বলে পুড়ে-মরে ছারখার, তবু মাথা নোয়াবার নয়।’ ঐতিহাসিক পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গলায় শোনা গেল সুকান্ত ভট্টাচার্যের এই কবিতা খানি।
আজ শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করেন হাসিনা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হাসিনা বলেন ‘আসুন, আমরা শপথ নিই, উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা আমরা গড়ে তুলবই। জাতির পিতার স্বপ্ন আমরা বাস্তবায়ন করব। যতবারই হত্যা করো, জন্মাব আবার। দারুণ সূর্য হব। লিখব নতুন ইতিহাস।’ বক্তৃতায় নাম না করেই সেতুর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীদের তোপ দাগেন হাসিনা। তিনি বলেন, ‘ষড়যন্ত্রের জন্যই সেতু নির্মাণ দু’বছর পিছিয়ে যায়। তবে আমরা হতাশ হইনি। হতোদ্যম হইনি কখনও। আজ পদ্মার বুকে জ্বলে ওঠে লাল নীল সবুজ আলোর ঝলকানি। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না। কেউ দাবিয়ে রাখতে পারেনি। সর্বোচ্চ মান বজায় রেখে নির্মাণ করা হয়েছে পদ্মা সেতু।’
হাসিনা দাবি করেন পদ্মা সেতুতে ১২২ মিটার গভীরতা পর্যন্ত পাইল বসানো হয়েছে, বিশ্বের আর কোনো সেতুতে এত গভীরতা পর্যন্ত পাইল বসানো হয়নি। পদ্মা সেতু নিয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি বরাবর বেশ উত্তপ্ত ছিল। সরকারি বিরোধী শিবির তো বটেই, এমনকী সরকার কক্ষের লোকেরাও একটা সময় বলতেন, দেশের টাকায় এক বড় সেতু নির্মাণ বাংলাদেশের পক্ষে অসম্ভব।
হাসিনা তাঁর ভাষণে আজ সেই প্রসঙ্গও টেনে আনেন। তিনি বলেন, ‘সেদিন যারা বলেছিলেন নিজস্ব অর্থায়নে হবে না, এটি স্বপ্নমাত্র, তাদের কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই আমার। তাদের চিন্তার দৈন্য আছে, আত্মবিশ্বাসের দৈন্য আছে। কিন্তু আজ হয়তো তাদেরও আত্মবিশ্বাস বাড়বে।’ হাসিনার আজকের বক্তৃতার প্রত্যেক ছত্রে ছিল মুজিব উর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা, ছিল বাংলাদেশের প্রত্যেক মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা। এর সঙ্গেই ছিল আন্তজার্তিক স্তরে বাংলাদেশের উত্থানের শঙ্খনাদ।
‘ভারত আজ পর্যন্ত অলিম্পিকে সোনা পায়নি …’ ভরা মঞ্চে বেফাঁস মমতা