বাংলাহান্ট ডেস্কঃ উত্তরপ্রদেশ (Uttarpradesh) হাথরস কাণ্ডের প্রতিবাদে গোটা ভারত উত্তপ্ত হয়ে আছে। দোষীদের কঠিনতম শাস্তির দাবিতে সোচ্চার গোটা ভারতের মানুষ। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে সমাজের প্রথম সারির মানুষ, সকলেই এই ঘটনার প্রতিবাদে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন প্রতিবাদী বিক্ষোভে সামিল হয়েছে।
যোগী সরকার এবং পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন
পরপর দুটি গণধর্ষণের ঘটনায় উত্তরপ্রদেশ সরকার যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath) এবং উত্তরপ্রদেশ পুলিশের ভূমিকা নিয়েও উঠছে নানারকম প্রশ্ন। যোগী সরকার তাঁর রাজ্যে মহিলাদের সুরক্ষায় ব্যর্থ, এই নিয়ে যোগী সরকারের বিরুদ্ধে উঠেছে নানা শ্লোগান। সেইসঙ্গে পুলিশ কেন তড়িঘড়ি নির্যাতিতার দেহ দাহ করে দিল, সে বিষয়েও উঠেছে অনেক প্রশ্ন।
যোগীর পদত্যাগের দাবীতে আইনজীবীরা
প্রসঙ্গত, উত্তপ্ত উত্তরপ্রদেশের পরিস্থিতি ঠাণ্ডা করতে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি জানিয়েছে গাজিয়াবাদের কয়েক’শো আইনজীবী। বৃহস্পতিবার তারা যোগী সরকারকে তাঁর পদ থেকে বরখাস্ত করে, দ্রুতই উত্তরপ্রদেশে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি জানিয়েছেন।
তাদের কথায়, উত্তরপ্রদেশ থেকে গণধর্ষণের যে ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে তাতে করে, মহিলাদের উপর অপরাধের নিদর্শন প্রকাশ পাচ্ছে। এই সরকারের ক্ষমতায় থাকার কোন অধিকার নেই। কারণ উত্তরপ্রদেশের এই ঘটনা গোটা দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। তাই তারা দ্রুতই উত্তরপ্রদেশে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করতে চাইছে।
তদন্তের স্বার্থে করা হবে নারকো টেস্ট
এবার এই ঘটনায় তদন্তের কারণে নারকো টেস্ট (Narco test) করা হবে বলে জানানো হয়েছে। পূর্বেই এই ঘটনায় গাফিলতির কারণে এসপি বিক্রম বীর, ডিএসপি রাম শব্দ, পরিদর্শক দীনেশ কুমার ভার্মা, উপ-পরিদর্শক জগবীর সিং এবং প্রধান মুরার মহেশ পালকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। সেইসঙ্গে জাআনো হয়েছে নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মীকেও নারকো ও পলিগ্রাফ টেস্ট করা হবে।