বাংলা হান্ট ডেস্ক: শীত গ্রীষ্ম বর্ষা ভ্রমণ (Travel) পিপাসুদের ঘুরতে (Travel) যাওয়ার জন্য আলাদা করে কোনো মরশুমের প্রয়োজন পড়ে না। তাই এখন সারা বছরই পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে আনাগোনা লেগেই থাকে পর্যটকদের। তবে ইদানিং বহু পর্যটকদের মধ্যেই বাড়ছে অফবিট ডেস্টিনেশনে (Offbeat Destination) ঘুরতে (Travel) যাওয়ার হুড়োহুড়ি। কিন্তু ঘুরতে যেতে চাইলেই তো আর সবার পক্ষে যাওয়া হয়ে ওঠে না।
কলকাতা থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরে পাহাড় ভ্রমণ (Travel):
প্রথমত ছুটির অভাব, দ্বিতীয়ত মাসের শেষে পকেট গড়ের মাঠ! তাই আজ আপনাদের জানাবো খুবই কম খরচে কলকাতা থেকে ঢিল ছড়া দূরত্বে পাহাড় এবং জঙ্গলে ঘেরা এক দুর্দান্ত অফবিট ডেস্টিনেশন সম্পর্কে। এই জায়গাটি কলকাতা থেকে মাত্র চার ঘন্টা দূরে জামশেদপুর ইস্পাত নগরীর খুব কাছেই অবস্থিত। আসলে এখানে কথা হচ্ছে দলমা পাহাড় এবং পাহাড়ে ঘেরা অভয়ারণ্য সম্পর্কে।
কলকাতা থেকে খুব কাছেই অবস্থিত এই পাহাড় প্রকৃতি প্রেমীদের কাছে এক কথায় স্বর্গ। এখানকার মনোরম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, ঝর্ণা এবং বৈচিত্রময় প্রাণীজগত গোটা এলাকাকে করে তুলেছে দারুন আকর্ষণীয়।
কলকাতা থেকে দলমা পাহাড়ে যাওয়ার উপায়:
ট্রেনে যেতে চাইলে কলকাতা থেকে টাটানগর (চাইবাসা) পর্যন্ত ট্রেনে গিয়ে, টাটানগর থেকে বাস বা ট্যাক্সি নিয়ে মাত্র ৪০ মিনিটেই পৌঁছে যাওয়া যায় দলমা পাহাড়। তবে কলকাতা থেকে সরাসরি দলমা পাহাড় পর্যন্ত বাস-ও চলে। আর নিজস্ব গাড়ি থাকলেও সহজেই দলমা পাহাড় পৌঁছনো যায়। এখানে বলে রাখি কলকাতা থেকে দলমা পাহাড়ের দূরত্ব প্রায় ২৪০ কিলোমিটার এবং গাড়িতে যেতে সময় লাগে ৪-৫ ঘণ্টা।
আরও পড়ুন: দুর্মূল্যের বাজারে কমল রান্নার গ্যাসের দাম! পুজোর আগেই বড় ঘোষণা রাজ্য সরকারের
কী কী দেখবেন?
এখানকার পর্যটকদের কাছে মূল আকর্ষণ হল দলমা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য। পাহাড়ি পরিবেশে হাতি, চিতাবাঘ, বন্য-কুকুর, হরিণ, এবং বিভিন্ন প্রজাতির পাখির আবাসস্থল এই অভয়ারণ্য। অনেক অ্যাডভেঞ্চার প্রেমীরাই দলমা পাহাড়ের চূড়ায় ট্রেক করে থাকেন। এছাড়াও এখানে রয়েছে সীতারাম বাঁধ সংলগ্ন সীতারাম ঝর্না। বলা হয় এই ঝর্নার সঙ্গে নাকি রামায়ণের নানান কাহিনী জড়িয়ে আছে।
এখানকার উপরি পাওনা হল দলমা সীতারাম ড্যামে ভ্রমণ। এছাড়াও দলমা পাহাড় ভ্রমণের অন্যতম আকর্ষণ হল এই পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত ডিমনা হ্রদ।
কোথায় থাকবেন?
দলমা পাহাড়ের রয়েছে বন বিভাগের পরিচালিত বেশ কিছু রিসোর্ট। তা ছাড়া, একটু অন্যরকম অভিজ্ঞতার জন্য কেউ চাইলে স্থানীয় গ্রামবাসীদের বাড়িতেও থাকতে পারেন।