বাংলা হান্ট ডেস্কঃ এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে উত্তাল রাজ্য। সম্প্রতি নিয়োগে কেলেঙ্কারির জেরে এসএসসি ২০১৬ সালের গোটা প্যানেল বাতিল করেছে সুপ্রিম কোর্ট। ধাক্কায় চাকরি হারিয়েছেন ২৫,৭৫২ জন। (SSC Recruitment Scam)। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই এবার শিরোনামে প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি (TET Scam)। প্রাথমিকে ৩২ হাজার চাকরি বাতিল মামলা আজ শুনানির জন্য উঠবে কলকাতা হাই কোর্টে।
টেট মামলা হাইকোর্টের নয়া বেঞ্চে | TET Scam
প্রসঙ্গত, এর আগে ৭ এপ্রিল মামলাটির শুনানি হওয়ার কথা ছিল কলকাতা হাইকোর্টে। কিন্তু সেইদিনই ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে মামলা থেকে অব্যাহতি নেন বিচারপতি সৌমেন সেন। এরপরই হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম মামলাটি নতুন বেঞ্চে পাঠায়। ২৮ এপ্রিল মামলাটির শুনানি হবে বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি ঋতব্রতকুমার মিত্রের ডিভিশন বেঞ্চে।
প্রসঙ্গত এসএসসি-র মতো প্রাথমিকের মামলাতেও (WB Primary Recruitment Case) ৩২ হাজার চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের নতুন বেঞ্চে সেই মামলাই শুনানির জন্য উঠবে। এক্ষেত্রে কী আগের নির্দেশই বহাল রাখবে ডিভিশন বেঞ্চ? আশঙ্কা আইনজীবীমহলে।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের টেটের ভিত্তিতে ২০১৬ সালে রাজ্যের বিভিন্ন প্রাথমিক স্কুলে নিয়োগ হয়। ২০১৬ সালে ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের নিয়োগ বেআইনি বলে অভিযোগ ওঠে। এরপর ওই সংখ্যক চাকরি খারিজ করে দিয়েছিল হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। ২০২৩ সালে ৩২০০০ প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল করেন তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
চাকরি বাতিল হলেও বিচারপতির নির্দেশ ছিল, ওই শিক্ষকরা স্কুলে যাবেন। তবে তিন মাসের মধ্যে রাজ্যকে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। ৩২ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিলের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে মামলা দায়ের হয় ডিভিশন বেঞ্চে। ডিভিশন বেঞ্চে আপিল করেছিল রাজ্য।
গত ৭ এপ্রিল ডিভিশন বেঞ্চে ওই মামলার শুনানির কথা ছিল। কিন্তু ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে মামলা থেকে অব্যাহতি নেন জাস্টিস সেন। আজ এই মামলার শুনানি হবে। প্রসঙ্গত, আবার এই সংক্রান্ত আরও একটি মামলায় হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা ৪২ হাজার নিয়োগের প্যানেল প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই মামলাটি সুপ্রিম কোর্টে স্থগিতাদেশ পেয়েছে। এরই মধ্যে হাইকোর্টে প্রাথমিকের মামলার শুনানি।
ভিডিও দেখুন: https://youtu.be/N5XyZeSTTHs?si=TmXeMWOZDxtx-HN1
এসএসসি ২৬০০০ এর আবহে ভয় ধরাচ্ছে প্রাথমিক। প্রাথমিকের মামলায় কোনও প্যানেল প্রকাশ পায়নি। তবে SSC মামলায় স্কুল সার্ভিস কমিশনের কাছে যেমন কোনো উত্তরপত্র বা ওএমআর শিট নেই তেমনই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কাছেও নেই কোনও ওএমআর শিট নেই।
আরও পড়ুন: ‘ভারত থেকে কেউ বের করতে পারবে না মুসলিমদের’, বোরখা পরে সংখ্যালঘুদের পাশে রাখি সাওয়ান্ত
এসএসসির মতো প্রাথমিকের ক্ষেত্রেও পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। তাই সে ক্ষেত্রেও গোটা প্যানেল বাতিলের আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে বলে আইনজীবী মহলের একাংশের মত। SSC নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সুপ্রিম রায়ের পর থেকে আশঙ্কায় ভুগছেন প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা (Primary Teachers)। আইনজীবীদেরও একাংশের আশঙ্কা এবার কোপ পড়তে পারে প্রাথমিক শিক্ষকদের চাকরির উপর!