বাংলা হান্ট ডেস্কঃ তিব্বত (Tibet) নিয়ে আমেরিকার (United States) উপর অভ্যন্তরীণ মামলায় দখল দেওয়ার অভিযোগ করা চীন এবার তিব্বতের নির্বাসিত সরকারের প্রধানের আরও একটি পদক্ষেপ বেজায় চটে আছে। তিব্বতের নির্বাসিত সরকারের প্রধান ডঃ লবসাং সাংগে আমেরিকার আমন্ত্রণে হোয়াইট হাউস পৌঁছেছিলেন। সেখানে তিনি তিব্বত মামলার জন্য নব নিযুক্ত আমেরিকার আধিকারিকদের সাথে সাক্ষাৎ করেন। আপনাদের জানিয়ে দিই, ছয় দশক পর প্রথমবার সিটিএ এর প্রধানকে হোয়াইট হাউসে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
এই সাক্ষাৎ নিয়ে লবসাং সাংগে ট্যুইট করে লেখেন, ‘কেন্দ্রীয় তিব্বত প্রশাসনের রাজনৈতিক প্রধান হিসাবে হোয়াইট হাউসে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রবেশ করা গর্বের বিষয়।” সিটিএ ওনার এই সফর সম্পর্কিত একটি সরকারী বিবৃতিও জারি করেছে।
It is a great honor to be the first political head of the Central Tibetan Administration to formally enter the White House https://t.co/nbdVONjlmg
— Lobsang Sangay (@Drlobsangsangay) November 20, 2020
বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে ডঃ লবসাং সাংগের এই সফর সিটিএর গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা এবং এর রাজনৈতিক দিক উভয়কেই গুরুত্ব পাবে। আর এই বৈঠকটি নজিরবিহীন ছিল। এই বৈঠক মার্কিন কর্মকর্তাদের সাথে সিটিএর অংশীদারি সম্পর্কে একটি আশাবাদী পরিবেশ তৈরি করবে।
তিব্বতের এই পদক্ষেপে চীন যে চটে উঠবে সেটা স্বাভাবিক। উল্লেখ্য, আমেরিকার বিদেশ মন্ত্রী মাইক পম্পিও ১৫ অক্টোবর সিনিয়র কূটনীতিককে তিব্বত বিষয়ক বিশেষ সমন্বয়কারী হিসাবে নিযুক্ত হন। আমেরিকার এই সিদ্ধান্তে চীন আগে থেকেই চটে আছে। আর তাঁরা আমেরিকার বিরুদ্ধে চীনের অভ্যন্তরীণ মামলায় দখল দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে। এবার তিব্বতের নির্বাসিত সরকারের প্রধানের হোয়াইট হাউসে যাওয়া চীনকে আরও চটিয়ে তুলবে।
এর আগে, এই দুজনের বৈঠক সম্পর্কে প্রশ্নে চিনের বিদেশ মন্ত্রক বলেছে যে তিব্বত চীনের অভ্যন্তরীণ ইস্যু আর এটা নিয়ে কোনও বাইরের মানুষের দখল দেওয়া উচিৎ না। চীন কূটনীতিক নিযুক্তি নিয়েও আমেরিকার উপর চীনের অস্থিরতা সৃষ্টি করার চেষ্টা করার অভিযোগ তুলেছে।