বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্ষাকালে এমনি ভাজাপোড়া খেতে মন বেশি চায়। সে দুপুরের খিচুড়ি সঙ্গে ডিম ভাজ, পকোড়া, পাঁপড় ভাজা হোক বা সন্ধ্যের টিফিনে ফিস ফ্রাই, চপ, শিঙাড়া অথবা ডিমের ডেভিল হাতছানি দেয়। আর এইসব ভাজাপোড়া খেয়ে হয় নানা শারীরিক সমস্যা (Health) । পাশাপাশি অনেকেই কোলেস্টেরল, উচ্চ রক্তচাপ, হার্টের অসুখের চোখরাঙানিতে লোভ হলেও ভাজাভুজি থেকে দূরে থাকেন। তবে আপনি চাইলে একটু সতর্কতা মেনে ভাজাভুজি খেতে পারবেন। তার জন্য মানতে হবে কিছু নিয়ম।
বাড়িতে ভাজা বুঝি খেতে ইচ্ছে হলে ভাজা ভুঁচিতে তেলের ব্যবহার কমানোর উপায় (Health)
বিভিন্ন গবেষণায় বলা হয়েছে, রান্নার তেল বারংবার করে গরম করলে তার থেকে এক ধরনের টক্সিক উপাদান নির্গত হয় যা শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক। পাশাপাশি এর থেকে প্রাণঘাতী রোগের সৃষ্টি হয়। চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞদের মতে বেশি হলে দু’বার তেল গরম করে ব্যবহার করা যেতে পারে। এর বেশি একেবারেই নয়। তা থেকে যে পরিমাণ ট্রান্স ফ্যাট নির্গত হয় তা আপনার শরীরকে অসুস্থ করে দিতে পারে। তবে কিছু নিয়ম মেনে চললে আপনি বাড়িতেই ভাজাপোড়া খেতে পারবেন।
মাঝেমধ্যে তেলেভাজা খেতে ইচ্ছে হলে ভাজা ভুজিতে তেলের ব্যবহার কমানোর উপায় কি?
১. আলুর চপ, বেগুনি, পকোড়া মূলত যে সমস্ত জিনিস বেসনে ডুবিয়ে ভাজছেন সেই সমস্ত মিশ্রণ গুলিকে খুব ঘন করলে তেল টেনে নেয়। তাই যতটা সম্ভব মিশ্রণটি পাতলা রাখার চেষ্টা করুন।
২. ছাঁকা তেলে ভাজা খাবার অতিরিক্ত তেল শুষে নেয়। তাই এই ধরনের ভাজা করলে কয়েকটি টিস্যু পেপার এর ওপরে এই ভাজা গুলো তুলুন। যার ফলে অতিরিক্ত তেল (Oil) এই টিস্যু পেপার শুষে নেবে।
৩. যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু তেল দিয়ে রান্না শুরু করুন। দরকার হলে পরে আবার তেল নিয়ে নিতে পারবেন। মাথায় রাখবেন ভালোভাবে তেল গরম না হওয়া পর্যন্ত ওই তেলে ভাজাপোড়া করলে তেরে জমে থাকা মাত্রা বেড়ে যায়।
৪. আগে ব্যবহার করা তেল বা পোড়া তেল দ্বিতীয় বার ব্যবহার না করার চেষ্টা করবেন। কারণ পোড়া তেলে ভাজা খাবার খেলে অম্বল, গলা-বুক জ্বালার পরিমাণ বেড়ে যাবে।
৫. ভাজাপোড়া করার সময় গরম তেলে এক চামচ নুন ছড়িয়ে দিলে উপকার পাবেন।
(Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য। কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনারা চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।)