বাংলাহান্ট ডেস্ক: বলিউডে একাধিক সম্পর্ক, বিয়ে নতুন কথা নয়। আশি নব্বইয়ের দশক থেকে এখনো পর্যন্ত বহু অভিনেতা অভিনেত্রীই ঘরে বাইরে দুদিকে সম্পর্ক চালিয়ে যাচ্ছেন। কেউ প্রকাশ্যে সেকথা স্বীকার করে বিচ্ছেদের পথে হেঁটে প্রেমকেই স্বীকৃতি দিয়েছেন। আবার অনেকে একসঙ্গেই চালিয়েছেন পরকীয়া। প্রথম তালিকায় রয়েছেন কিংবদন্তি অভিনেতা ধর্মেন্দ্রর (Dharmendra) নামও।
বিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও আবারো প্রেমে পড়েছিলেন ধর্মেন্দ্র। ‘শোলে’ সহ অভিনেত্রী হেমা মালিনীর (Hema Malini) প্রেমে হাবুডুবু খেয়েছিলেন তিনি। ছবিতে বীরু এবং বসন্তির প্রেম ছিল আইকনিক, যা ছবিটিকে এক অন্য মাত্রা দিয়েছিল। বাস্তবেও ‘ড্রিম গার্ল’কে মন দিয়ে বসেছিলেন ধরম পাজি। প্রথম বিয়ে ভেঙে নতুন করে সংসার পেতেছিলেন হেমার সঙ্গে। কিন্তু তাঁদের সাংসারিক জীবনটা ঠিক স্বাভাবিক ছিল না।
ধর্মেন্দ্রর দুই বিয়ের কথা বলিউডে কারোরই অজানা নয়। ১৯৫৪ সালে প্রথম প্রকাশ কউরের সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন তিনি। তাঁর প্রথম স্ত্রী অবশ্য অভিনয় জগতের মানুষ ছিলেন না। বেশ সুখী দাম্পত্য জীবন ছিল দুজনের। চার সন্তানও রয়েছে ধর্মেন্দ্র প্রকাশের। কিন্তু এত ভালবাসা, সুখ সত্ত্বেও মন টলল প্রবীণ অভিনেতার।
হেমা মালিনীর রূপ দেখে গলে গেলেন ধর্মেন্দ্র। স্ত্রী, সন্তানের ভরা সংসার ফেলে ১৯৮০ সালে হেমার সঙ্গে ঘর বাঁধেন অভিনেতা। চলতি বছরেই ৪৩ বছর পূর্ণ হয়েছে তাঁদের দাম্পত্য জীবনের। অদ্ভূত ভাবে হেমার সঙ্গে সংসার করলেও এখনো প্রথম স্ত্রী প্রকাশের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে ধর্মেন্দ্রর। আবার জানলে অবাক হবেন, এই দীর্ঘ ৪৩ বছরে একবারও নিজের শ্বশুরবাড়ি যাননি হেমা।
বিবাহিত ধর্মেন্দ্রকে নিজের স্বামী হিসাবে বেছে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে হেমাকে অনেক জটিলতার মুখে পড়তে হয়েছিল। অনেকেই তাঁর এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছিলেন। বলেছিলেন যে ধর্মেন্দ্রর প্রথম স্ত্রী প্রকাশ এবং তাঁদের সন্তানদের সুখের জীবন ধ্বংস করে দিচ্ছেন অভিনেত্রী। তাঁকে এক রকম খলনায়িকা বানিয়ে তোলা হয়েছিল।
কিন্তু পাত্তা দেননি হেমা। বিবাহিত ধর্মেন্দ্রকেই আবারো বিয়ে করেছিলেন তিনি। কিন্তু শ্বশুরবাড়ি যাওয়া হয়নি তাঁর। এত বছরে একবারও শ্বশুরবাড়ির মুখ দেখেননি অভিনেত্রী। এমনকি নিজের সতীন অর্থাৎ ধর্মেন্দ্রর প্রথম স্ত্রী প্রকাশের সঙ্গেও একবারও সামনাসামনি পরিচয় হয়নি তাঁর।
না, এখানে ধর্মেন্দ্রর কোনো দোষ নেই। আসলে হেমা নিজেই এই সিদ্ধান্তটা নিয়েছিলেন। বিয়ের সময়েই অভিনেত্রী ধর্মেন্দ্রকে কথা দিয়েছিলেন যে তাঁর ব্যক্তিগত জীবন বা বলা ভাল তাঁর প্রথম বিয়ে নিয়ে তিনি কোনোরকম নাক গলাবেন না কখনো। এ বছর ধরে নিজের সেই প্রতিজ্ঞা পালন করে চলেছেন হেমা। এই কারণেই তিনি দীর্ঘ ৪৩ বছরেও কখনো শ্বশুরবাড়িতে পা রাখেননি।