ঝাড়খণ্ডে বদলাল না পালা, আস্থাভোটে জয় হেমন্তর! বিধানসভা থেকে ওয়াক আউট বিজেপির

বাংলাহান্ট ডেস্ক : বিগত একমাস ধরে টালমাটাল ছিল ঝাড়খণ্ডের রাজনৈতিক পরিস্থিতি। বিজেপির (BJP) আগ্রাসন থেকে জোট সরকার বাঁচাতে মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন (Hemant Soren)। এ রাজ্য থেকে সে রাজ্য পালিয়ে বেড়িয়েছিলেন বিধায়কদের নিয়ে। অবশেষে সোমবার আস্থাভোটে সংখ্যা গরিষ্ঠতা প্রমাণ করলেন তিনি। ঝাড়খণ্ডের হেমন্ত সোরেনের সরকারের পতন নিয়ে যে সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল সেখান থেকে আপাতাত মুক্তি জোট সরকারের।

এদিন আস্থাভোটের আগে বিধানসভায় বিজেপিকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ শানান হেমন্ত। তিনি কটাক্ষ করে বলেন, মানুষ রেশন কেনেন। আর বিজেপি বিধায়ক কিনছে। এদিন বিধানসভার বক্তৃতায় তোপ দাগেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মাকেও। তিনি অভিযোগ করে বলেন, অসমের মুখ্যমন্ত্রী ঝাড়খণ্ডের সরকার ভাঙার জন্য ষড়যন্ত্র করেছিলেন।

ANI 20220825140 0 1661460133750 1661460133750 1661460146714 1661460146714 1

৮১ আসনের ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় সরেনের ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা একক বৃহত্তম দল। তাদের অধিকারের রয়েছে মোট ৩০টি আসন। কংগ্রেসের কাছে আছে ১৮ এবং আরজেডির রয়েছে একজন বিধায়ক। ম্যাজিক ফিগার ৪১-এর থেকে অনেকটাই বেশি ছিল জোটের আসন সংখ্যা। এদিন আস্থাভোটে গরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে কোনও অসুবিধাই হল না মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের।

হেমন্ত সোরেনের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই ‘অফিস অফ প্রফিট’-এর অভিযোগ উঠেছে। এই মামলায় নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে একটি রিপোর্ট পাঠানো হয় রাজ্যপালের কাছে। এই রিপোর্টে হেমন্ত সোরেনের বিধায়ক পদ খারিজের সুপারিশ করেছে কমিশন। বিরোধী দল বিজেপি দাবি করে, খনির ইজারা দিয়ে নির্বাচনী নিয়ম ভেঙেছেন হেমন্ত। তাই খারিজ করা হোক তাঁর বিধায়ক পদ।

jharkhand chief minister hemant soren gestures to 1430449

জেএমএম পাল্টা অভিযোগ করে, বিপদের সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করছে বিজেপি। রাজ্যের শাসক জোটের বিধায়কদের টাকা দিয়ে দলে টেনে নির্বাচিত সরকারকে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করছে বিজেপি। ঠিক যে ভাবে মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ এবং কর্নাটকের মতো রাজ্যগুলিতে করেছিল গেরুয়া শিবির। সেই চেষ্টাই করছে পদ্ম শিবির। তবে আস্থা ভোটে জয়লাভের পর আপাতত সেই সংকট কেটেছে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

Avatar
Sudipto

সম্পর্কিত খবর