বাংলাহান্ট ডেস্কঃ কফি হাউস ঘিরে নস্টালজিক নয় এমন কলকাতা বাসী হয়তো তিলোত্তমায় হাতে গোনা৷ কলেজ পাড়ায় কাটানো দিনগুলির অধিকাংশই কাটে কফি হাউসের টেবিলে আড্ডায় কফি ও সুখটানের সাথে। এতখানি জনপ্রিয় এই সংস্থাটি যে, বাংলা সাহিত্যে বারবার উঠে এসেছে এই কফি হাউসের আড্ডা। বাঁধা হয়েছে গানও। লকডাউনে এই শতাব্দী প্রাচীন কলকাতা সংস্কৃতির অন্যতম এই প্রাণ কেন্দ্রটিই এখন খাদের কিনারে।
আনলকডাউনে যখন একটু একটু করে খুলছে তখনও খোলেনি কফি হাউস। কারন করোনা পরিস্থিতিতে একসাথে কফির কাপে ঘন্টার পর ঘন্টা আড্ডা সম্ভব নয়। পাশাপাশি, কফি হাউসে সবচেয়ে বেশী যারা আড্ডা মারতে আসে সেই ছাত্র ছাত্রীদের কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ। অনেকেই চলে গিয়েছেন মেস ছেড়ে। এই পরিস্থিতিতে কফি হাউস খুললেও বিকিকিনি তেমন একটা হবে না বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।
কিন্তু বেতন কেন বন্ধ কফি হাউসে? কফি হাউস চলে সমবায় প্রতিষ্ঠান হিসাবে৷ লাভের অঙ্ক ভাগ করে নেন কর্মচারীরা। টানা ৩ মাস বন্ধ থাকায় তাই উপার্জন হয়নি সংস্থার৷ সেই কারনেই বন্ধ বেতন।
সব মিলিয়ে বাংলা সংস্কৃতি ও সাহিত্যের অন্যতম পীঠস্থান। যেখানে বসে আড্ডা মেরেছেন সুনীল, শক্তি থেকে শুরু করে মৃণাল সেন। সেই ঐতিহ্য বাহী কফি হাউস আজ বেতন সমস্যায় খাদের কিনারে। কফি হাউসের অন্দরে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে না তেমন আশার কথাও।