লাগবে সামান্য কিছু টাকা! ঢুঁ মারুন সিকিমের এই পাহাড়ি গ্রামে, নির্জনতার মধ্যেও পাবেন আসল তৃপ্তি

বাংলাহান্ট ডেস্ক : সিকিমের কথা মনে করলেই আমাদের চোখে প্রথম ভেসে ওঠে গ্যাংটক, ছাঙ্গু লেক কিংবা গুরুদংমার হ্রদ। পর্যটকদের কাছে সিকিমের এই জায়গাগুলি অত্যন্ত সুপরিচিত। সিকিমে গেলে প্রত্যেক পর্যটকই এই জায়গাগুলিতে ঘুরতে যান। কিন্তু অনেকেই আজকাল বিখ্যাত এই জায়গাগুলোকে দূরে সরিয়ে রেখে নিরিবিলি অফবিট পর্যটন স্থানের সন্ধান করছেন।

এই সময় অনেক পর্যটক এমন জায়গায় ঘুরতে যেতে চাইছেন যেখানে জনসমাগম কম হয়। তারা চাইছেন কিছু দিন একান্তে পাহাড়ের কোলে (Hill Station) বসে সময় কাটাতে। ‘সাং’ (Sang) সিকিমে অবস্থিত এমনই একটি অফ বিট গ্রাম। সিকিমের (Sikkim) পূর্বপ্রান্তে অবস্থিত এই গ্রামে হাতে গোনা কিছু মানুষ বসবাস করেন। এই গ্রামের প্রকৃতিতে নেই কৃত্তিমত্তার ছোঁয়া।

সবুজ পাহাড়ে ঘেরা ছোট্ট এই গ্রামে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির পাখিদের আনাগোনা। পক্ষী প্রেমীদের কাছে এই গ্রাম আদর্শ। নানা জাতের পাখিদের কলরবে সারাটা দিন এই গ্রাম মুখরিত হয়ে থাকে।
রুমটেক মনেস্ট্রি এই গ্রামের খুব কাছে এই অবস্থিত। সিকিমের সবথেকে বড় বৌদ্ধ মঠ এই রুমটেক মনেস্ট্রি। এই গ্রাম থেকে ট্রেক করে আপনারা পৌঁছাতে পারেন কাছের একটি জলাশয়ে।

33687021 small village house in a jungle sikkim india 750x430

এছাড়াও বিরল রেড পান্ডা দেখা যায় এই গ্রামের জঙ্গলে। সাং গ্রামে দুদিন কাটিয়ে আপনারা ঘুরে আসতে পারেন নামচি থেকে। এখান থেকে নামচি যেতে সময় লাগে মাত্র দু ঘন্টা। এছাড়াও চার ঘন্টার দূরত্বে আপনারা পৌঁছে যেতে পারেন পেলিং। রুমটেক থেকে আপনারা সহজেই পৌঁছে যেতে পারবেন সাং। রাত কাটানোর জন্য এই গ্রামে রয়েছে কয়েকটা হোমস্টে।

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর