বাংলা হান্ট ডেস্কঃ অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিজের বয়ানে কায়েম রয়েছেন। রবিবার মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা মুসলিম সম্প্রদায়ের ১৫০ জন বুদ্ধিজীবী আর প্রতিষ্ঠিত নাগরিকদের সঙ্গে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে চর্চা করবেন। মুখ্যমন্ত্রী এটা স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, তিনি মুসলিম সম্প্রদায়ের সঙ্গে কথা বলবেন ঠিকই, কিনতি জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে কোনও আপোষ করবেন না।
মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকে অংশ নেওয়া মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের ৮টি দলে ভাগ করা হয়েছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পরিবার নিয়োজন, মুসলিম মহিলাদের আর্থিক দিক থেকে শক্তিশালী করা এবং তাঁদের আত্মনির্ভর হওয়া নিয়ে চর্চা করা হবে এবং পরামর্শ দেওয়া হবে।।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, অসমের জনসংখ্যায় সংখ্যালঘুদের ৩৭ শতাংশ অবদান রয়েছে। তাঁদের মধ্যে বড় একটি অংশ বঞ্চিত আর অশিক্ষিত। বিগত কয়েক বছরে অসম আর্থিকদিক থেকে আরও শক্তিশালী হতে পারত। সংখ্যালঘু মহিলাদের এটা নিয়ে দোষ দেওয়া যাবেনা, কারণ তাঁদের উপর পরিবারের চাপ থাকে। যদিও, বর্তমান সময়ে তাঁরা পরিবারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে নিজেদের শক্ত করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।
অসমের মুখ্যমন্ত্রী জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করা নিয়ে যে খুবই গম্ভীর, সেটা ওনার বয়ানেই স্পষ্ট। আর এরজন্য তিনি সমাকের প্রত্যেক বর্গের মানুষের সঙ্গে আলোচনাও করছেন। ওনার মতে, সবার এই পদক্ষেপে নীতিগত দিক থেকে সহমত থাকা উচিৎ। মুখ্যমন্ত্রী এই ইস্যুতে যুবদের সঙ্গেও চর্চা করেন আর তিনি এও দাবি করেন যে, অল ইন্ডিয়া মাইনরিটি স্টুডেন্ট ইউনিয়নের দুটি গ্রুপ ওনাকে সমর্থনও করেছে।
উল্লেখ্য, অসমের মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর হিমন্ত বিশ্ব শর্মা ঘোষণা করেন যে, রাজ্যে এবার থেকে দুই সন্তান নীতি লাগু হবে। দুই সন্তানের অধিক অভিভাবকদের সমস্ত সরকারি প্রকল্প থেকেও বঞ্চিত করার কথা বলেন তিনি। আর প্রথম থেকেই তিনি এই বিষয়ে একের পর এক মানুষের সঙ্গে চর্চা করে চলেছে।