বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পাকিস্তানের অবস্থা এখন শিরে সংক্রান্তির মত। একদিকে আন্তর্জাতিক প্রবল চাপ তার ওপরে ভারতের লাগাতার আক্রমন। কাযেই একটি ঘটনা আরও চিন্তায় ফেলেছে পাকিস্তানকে।
ঘোটকী জেলার মিরপুরের এলাকার বাসিন্দা ছিলেন নম্রিতা। বিবি আসিফার ডেন্টাল কলেজে ফাইনাল ইয়ারের ছাত্রী ছিলেন। হোস্টেলে থাকতেন। কিন্তু গত সোমবার তার ঘরের দরজা বন্ধ ছিল রাতে। অনেকক্ষণ বন্ধ থাকার পর ডাকাডাকি করে ওর দরজা খোলেনি। সন্দেহ হওয়ায় অনেকেই দরজার ফাঁক দিয়ে উঁকি ঝুঁকি মারার চেষ্টা করে।
আর তখনই চোখে পড়ে তার গলায় দড়ি বাঁধা অবস্থা মৃতদেহটি। উদ্ধার করে পরে স্থানীয় হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হলে মৃতের পরিবার না আসা পর্যন্ত ময়নাতদন্ত শুরু করতে দিবেনা বলে পুলিশ জানায়।
ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের হলেও তা মানতে চায়নি তার পরিবার। কিন্তু তাকে খুন করা হয়েছে তার পরিবারের অভিযোগ। এই কারণে এফআইআর দায়ের করে তারা তার পরিবারের বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেয়। পাকিস্তান সরকার পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমে 32 জনকে আটক করলেও তাদের মধ্যে ওই ছাত্রীর দুজনসহ রয়েছে কে সহপাঠী।
পাক সংবাদমাধ্যমে জানায় যে আঠারোই সেপ্টম্বর পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিভাগীয় তদন্তের ভার নেওয়ার জন্য জেলার বিচারকের কাছে আবেদন জানায়। কিন্তু সচিব আব্দুল বীর কাজী জানান তিনি দেশের বাইরে রয়েছে পুলিশের থেকে বিচারের দায়িত্ব না নেওয়ার কথা তিনি জানতে পেরেছেন, তবে বিচারকের কাছ থেকে এখনো কোনো লিখিত জবাব পাননি পাশাপাশি তিনি বিচারকের নাম জানাতেও অস্বীকার করেন।