বাংলাহান্ট ডেস্ক : নেতাজিকে ভোটের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। এবার এহেন অভিযোগ এনেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দাগল খোদ হিন্দু মহাসভা। আগামী দিনে নেতাজি ইস্যুতে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দেওয়া হল বিজেপিকে।নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর জন্মদিনের প্রাক্কালে ২২ জানুয়ারি ব্যারাকপুর নীলগঞ্জের আইএনএ শহিদ সৈনিকদের স্মরণে একটি যজ্ঞের আয়োজন করেছিল অখিল ভারতীয় হিন্দু মহাসভা, সনাতন ভারত এবং নেতাজি সুভাষ মিশন।
সেই অনুষ্ঠানের শেষেই নেতাজি সম্পর্কিত একাধিক ইস্যুতে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে বিঁধলেন অখিল ভারতীয় হিন্দু মহাসভার রাজ্য সভাপতি চন্দ্রচূড় ঘোষ গোস্বামী।তিনি বলেন, ‘ ১৯৪৫ সালে এই সাহেববাগানেই নৃসংস ভাবে হত্যা করা হয়েছিল হাজার হাজার বন্দি আইএনএ সৈনিকদের। সেই শহিদরা আজও তাঁদের প্রাপ্ত সম্মান এবং স্বীকৃতি পাননি। অবিলম্বে তাঁদের সম্মান জানিয়ে সাহেব বাগানকে হেরিটজ ঘোষণা করে শহিদ তীর্থ করতে হবে’। তাঁকে আরও বলতে শোনা যায়, ‘আইএনএ বীর শহিদদের হত্যাকারী মেননের পরিবার সরকারি ভাবে এখনও পেনশন পাচ্ছে। তাও বন্ধ করতে হবে অবিলম্বেই।’
ভোটের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে নেতাজিকে। এই অভিযোগ আনতেও দেখা যায় তাঁকে। চন্দ্রচূড় ঘোষ গোস্বামীকে বলতে শোনা যায়, ‘অতীতের এবং বর্তমান সরকার, একইভাবে ভোটপ্রচারের মাধ্যম হিসেবে নেতাজিকে ব্যবহার করা হচ্ছে। ভোটের আগেই নেতাজির জন্মদিনকে পরাক্রম দিবস হিসেবে পালন করা হচ্ছে। সামনেই অনেকগুলি রাজ্যের নির্বাচন। সেগুলির জন্যই এতদিন পর নেতাজির মূর্তি বসানো হচ্ছে দিল্লিতে। অথচ দেশবাসী এখনও ধোঁয়াশায় যে নেতাজির কী হল। এতগুলি কমিশন তৈরি হয়েছে তাও কিছুই প্রকাশ করা হয়নি পুরোপুরি ভাবে।’
জাপানের রেনিকোজি টেম্পলে রাখা নেতাজির চিতাভস্মর ডিএনএ টেস্ট রিপোর্ট দেশবাসীর সামনে রাখারও দাবি জানিয়েছেন তিনি।ট্যাবলো বিতর্কেও কেন্দ্রকে বিঁধেছেন হিন্দু মহাসভার রাজ্য সভাপতি। নেতাজির ১২৫ তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে প্রতিটি রাজ্যের ট্যাবলোতেই নেতাজি বিষয়ক কিছি রাখা উচিত ছিল বলেই মনে করেন তিনি। সেই জায়গায় নেতাজি সম্পর্কিত ট্যাবলো বাতিল হওয়ায় কেন্দ্র সরকারকে তীব্র নিন্দা জানিয়ে হিন্দু মহাসভার অবস্থান স্পষ্ট করে দেন চন্দ্রচূড় ঘোষ গোস্বামী।