বাংলা হান্ট ডেস্ক : প্যার কিয়া তো ডরনা ক্যায়া! বলিউডের কাল্ট সিনেমা মুঘল-এ-আজমের এই গান রীতিমতো থিম সং হয়ে যায় উঠতি প্রেমিক-প্রেমিকাদের জন্য। ইতিহাস সাক্ষী, বারে বারে সমাজকে মাথা নত করতে হয়েছে প্রেমের সামনে। ধর্ম-বর্ণ-জাতির বেড়া নিমেষে চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে গেছে প্রেমের শক্তিতে। এমনই এক ঘটনার সাক্ষী থাকল বিহার (Bihar)। এক জোড়া যুবক-যুবতীর প্রেমের (Hindu Man Married Muslim Girl) সামনে মুক্ত হয়ে গেল সামজিক বিধিনিষেধের শিকল।
ইদানিংকালে লাভ জিহাদের খবরে বার বার কেঁপে উঠছে গোটা দেশ। প্রায় প্রতি ক্ষেত্রে কোনও মুসলিম যুবককে বিয়ে করে এক হিন্দু তরুণী। এবং তারপর সেই প্রমিকের হাতেই প্রাণ যায় তাঁর। সংবাদ শিরোনামে বারাবার উঠে এসেছে এমন খবর। কিন্তু এবার ঘটল উল্টো কান্ড। বিহারের ছাপড়া জেলায় এক মুসলিম তরুণী প্রেমের টানে বিয়ে করল এক হিন্দু যুবককে। আর এই বিয়েতে সাক্ষী থাকল গ্রাম পঞ্চায়েত এবং অগণিত স্থানীয় মানুষ।
কী হয়েছিল ঘটনা? স্থানীয় সূত্রে খবর, রীনা প্রসাদের ছেলে রাজাবাবু এবং সাবির আলি শাহর মেয়ে নিশার প্রেম পর্ব শুরু হয় স্কুলে পড়ার সময় থেকেই। শেষ ২ বছরে প্রেম আরও গভীর হয়। তাঁরা জানতেন পরিবার তাঁদের সম্পর্ক মেনে নেবে না। তাই সুযোগ পেয়েই গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যান দুজনে। এর জেরে দুই পরিবারের মধ্যে শুরু হয় অশান্তি।
এরপরই আসরে নামে পঞ্চায়েত। দুই পরিবারকে বোঝানো শুরু হয়। খুঁজে বের করা হয় প্রেমিক-প্রমিকাকে। গ্রামে ফিরিয়ে আনা হয় তাঁদের। নিশা সম্পূর্ণ হিন্দু রীতি মেনে বিয়ে করতে রাজি হয়। অবশেষে, গরখা এলাকায় দুই পরিবারের উপস্থিতিতে দুজনের বিয়ে সম্পন্ন হয়। এই বিয়ে দেখার জন্য জড়ো হন গোটা গ্রামের লোক। তাঁরা সকলেই নবদম্পতিকে শুভেচ্ছা জানান।
যুগলের বিয়ে নিয়ে উৎসুক ছিল গোটা গ্রাম। পঞ্চায়েতের দাবি ছিল, ওঁরা দুজন যদি রাজি থাকেন তাহলে বাকিদের কোনও সমস্যা নেই। পাত্রের মা চাঁদা দেবিও উপস্থিত ছিলেন এই বিয়েতে। তিনি বলেন, ‘আমরা এই বিয়েতে খুব খুশি। পঞ্চায়েতকে ধন্যবাদ এমন পদক্ষেপ করার জন্য।’ বিয়েতে হাজির ছিলেন মেয়ের পরিবারও। তাঁদেরও বেশ খুশি খুশিই দেখায় গোটা অনুষ্ঠানে।